গোবিন্দনগরে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র
প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু কাজ হয়নি, এমনই দাবি করে এলাকাবাসীর একাংশ নালিশ জানালেন আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়ের কাছে। মঙ্গলবার জামুড়িয়ার গোবিন্দনগরের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবুল এ দিন গোবিন্দনগর গুরুদ্বারে গিয়ে জামুড়িয়া বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার শুরু করেন। গুরুদ্বার থেকে বাবুল বেরোতেই তাঁকে এলাকাবাসীর একাংশ ঘিরে ধরেন। তাঁদের মধ্যে গুরুদেব সিংহ নামে এক প্রবীণ বিদায়ী সাংসদের কাছে অভিযোগ করেন, ‘‘পাঁচ বছর আগে আপনি রাস্তা সংস্কার ও পথবাতি লাগিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই কাজ হয়নি।” বাবুল তাঁকে তাঁর অফিসে এসে লিখিত আবেদন জানাতে বলেন। এবং সেই আর্জি জানালে কাজও হয়ে যাবে আশ্বাস দেন।
সেই সময়ে এলাকারই এক যুবক বাবুলের কাজে জানতে চান, তাঁর অফিস কোথায়। বিদায়ী সাংসদকে কখন পাওয়া যাবে সেই অফিসে, তা-ও জানতে চান ওই যুবক। বাবুল বলেন, ‘‘অমৃতসর থেকে কেউ ‘বাবুল সুপ্রিয়, আসানসোল’ লিখে পাঠালে আমার কাছে পৌঁছে যাবে। আপনারা অফিসে আসুন, কাজ হয়ে যাবে। চাইলেই আমার অফিসে পৌঁছে যেতে পারতেন। এলেই কাজ হবে।”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে গোবিন্দনগরের সংযোগকারী রাস্তা বেহাল। গত বছর ভোট প্রচারে এসে বাবুল ওই রাস্তাটিই সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে এলাকাবাসীর দাবি। তার পরেও রাস্তার হাল ফেরেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা জগজিৎ সিংহ, সোহন সিংহদের।
এই ঘটনার কথা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনের অভিযোগ, ‘‘প্রচারে বেরিয়েই বিজেপি প্রার্থী টের পাচ্ছেন পাঁচ বছরে উনি কিছুই করেননি।’’ এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে পরে প্রতিক্রিয়ার জন্য বাবুলকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। রাত ৯টা পর্যন্ত উত্তর মেলেনি এসএমএস-এরও। বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই অবশ্য দাবি করেন, ‘‘প্রচারে বেরিয়ে মানুষের সমস্যার কথা শুনছেন প্রার্থী। কোথাও কোনও বিক্ষোভ হয়নি। তৃণমূল অপপ্রচার করছে।’’
তবে, ঘটনাচক্রে, আসানসোলের ভোটে রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ এই প্রথম সামনে এল না। এর আগে স্বয়ং ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন রানিগঞ্জের এগারায় এক কর্মিসভায় যোগ দিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘রাস্তাগুলো একটু ভাল করতে হবে। রাস্তায় এত গর্ত।’’ সেই সঙ্গে তিনি সাংসদের উদ্দেশ্যে ‘পাঁচ বছর গান গাওয়া হলেও কাজ হয়নি’ জানান। পরে কোন রাস্তা জানতে চাওয়া হলে মুনমুন বলেন, ‘‘গ্রামাঞ্চলে অনেক রাস্তাই খারাপ। আসানসোল শহরের রাস্তা ভাল হলেও অনেক ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। রাস্তার পাশে আবর্জনা।’’ ওই ঘটনায় বিজেপি অবশ্য দাবি করেছিল, তৃণমূল প্রার্থী আসলে রাস্তার কাজের দায়িত্বে থাকা আসানসোল পুরসভা ও জেলা পরিষদের দিকেই আঙুল তুলেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy