Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কাঁকসায় শিল্পতালুকের ‘হাল’ অস্ত্র সিপিএমের

কাঁকসা এক সময়ে সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। এ বার এই ব্লকে ভাল ফলের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী, দাবি সিপিএম নেতাদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯ ০০:৪২
Share: Save:

এলাকায় শিল্পতালুক যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে বিস্তীর্ণ চাষের জমি। কল-কারখানা সে ভাবে চালু হয়নি। আবার নানা মুশকিলে ভুগছেন চাষিরাও। লোকসভা ভোটের প্রচারে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত কাঁকসায় তাই কৃষি ও শিল্প, দুই ক্ষেত্রে সমস্যার কথাই উঠে আসছে। তৃণমূল এবং সিপিএম প্রার্থী ঘোষণা করে জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা না হলেও রাস্তায় নেমেছে বিজেপি-ও।

কাঁকসা এক সময়ে সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। এ বার এই ব্লকে ভাল ফলের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী, দাবি সিপিএম নেতাদের। তাঁরা জানান, ব্লকে শিল্প ও কৃষি, দুইয়ের মেলবন্ধন রয়েছে। এলাকায় রয়েছে পানাগড় শিল্পতালুক, বামুনাড়া, গোপালপুর, বাঁশকোপার শিল্পতালুক এলাকা। আবার রয়েছে আমলাজোড়া, ত্রিলোকচন্দ্রপুর, বিদবিহারের মতো কৃষিপ্রধান এলাকা। সিপিএম নেতাদের দাবি, বাম আমলে পানাগড় শিল্পতালুকের জন্য জমি নেওয়া হয়েছিল। সেই সময়েই একটি বেসরকারি সংস্থা সার কারখানা তৈরি করে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেখানে উৎপাদন শুরু হয়নি। এ ছাড়া তৃণমূলের সরকারের আমলে নতুন কোনও শিল্পও আর গড়ে ওঠেনি।

বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের এ বারের সিপিএম প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী দাবি করেন, বাঁশকোপা, গোপালপুর, বামুনাড়া শিল্পতালুকে তৃণমূলের আমলে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের দল শ্রমিকদের স্বার্থে লড়াই করছে। ন্যূনতম বেতন ও পেনশনের দাবিতে সারা বছর ধরে নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেন, চাষিদের সমস্যা নিয়েও তাঁরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের তরফে কৃষক বাজার তৈরি করা হলেও সেখানে ধান বিক্রি করছেন ফড়েরা। ফলে, বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা। আভাসবাবুর বক্তব্য, ‘‘শিল্প ও কৃষি, কোনও কিছুতেই কেন্দ্র ও রাজ্য নজর দিচ্ছে না। আমরা সব কিছু নিয়েই মানুষের কাছে যাচ্ছি।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতার অবশ্য দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নই তাঁদের হাতিয়ার। তিনি দাবি করেন, আদিবাসী অধ্যুষিত কাঁকসা এলাকায় বিশেষ নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পানীয় জলের সমস্যা অনেকটা মিটেছে। সেচের ক্ষেত্রেও সমস্যা কমেছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের রাজ্য সরকার গরিব মানুষের জন্য সব সময় কাজ করছে। সেই সব কাজের কথা প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে।’’

প্রার্থী ঘোষণা না হলেও বিজেপি নেতা-কর্মীরা দেওয়াল লিখন শুরু করেছেন অনেক আগে। সেখানে রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি কেন্দ্রের উন্নয়নমূলক কাজের প্রচার করা হচ্ছে। কাঁকসার বিজেপি নেতা রমন শর্মার অভিযোগ, ‘‘সিপিএম এবং তৃণমূল, দুই দলকেই দেখেছেন মানুষ। তারা কোনও উন্নয়ন করেনি। সে কথা প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 CPM Industry
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE