Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

মিছিল, ছোট সভায় শেষ প্রচার

শুক্রবার পর্যন্ত দলের বড় নেতানেত্রী থেকে অভিনেতা বা প্রাক্তন খেলোয়াড়দের নিয়ে এসে সভা-মিছিলের আয়োজন করছিল নানা পক্ষ।

বর্ধমানে মিছিল তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র

বর্ধমানে মিছিল তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০২
Share: Save:

প্রার্থীরা রোড-শো অথবা হেঁটে। কর্মীরা গ্রামে-গ্রামে অটো, টোটোয়। পূর্ব বর্ধমানে ভোটের প্রচারের শেষ দিন, শনিবারে দেখা গেল এমন ছবিই।

শুক্রবার পর্যন্ত দলের বড় নেতানেত্রী থেকে অভিনেতা বা প্রাক্তন খেলোয়াড়দের নিয়ে এসে সভা-মিছিলের আয়োজন করছিল নানা পক্ষ। কিন্তু শেষ দিন আর সেই রাস্তায় হাঁটল না কেউ। প্রার্থী, স্থানীয় নেতানেত্রী ও কর্মীরা রাস্তায় নেমে জনসংযোগ করলেন শেষবেলায়। প্রচারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে এ দিন বিকেল ও সন্ধ্যায় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিভিন্ন দলের নেতারা।

বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা এ দিন বর্ধমান শহরে প্রচার করেন। বিকেলে উৎসব ময়দান থেকে রাজবাটি রোড-শো করেন তিনি। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর দাবি, ‘‘এখানকার সিপিএম প্রার্থী কখনও বারাবনিতে দাঁড়ান, কখনও বর্ধমানে। বিজেপি প্রার্থী বাংলা ভাগে মদত দিয়েছিলেন। এই মিছিলের ভিড় থেকেই প্রমাণ, মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবেন।’’

এ দিন বিকেলে কাটোয়ার পানুহাটে আদর্শপল্লি থেকে বড় মিছিল করে তৃণমূল। ছিলেন দলের বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী সুনীল মণ্ডল, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, দাঁইহাটের পুরপ্রধান শিশির মণ্ডল। কালনা শহরে ঢাকিদের নিয়ে প্রচারের আয়োজন করেন পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা দেবপ্রসাদ বাগ। তিনি বলেন, ‘‘সকাল থেকে ছ’টি টোটোকে দলীয় পতাকা, ব্যানারে সাজিয়ে প্রচার চালানো হয়েছে। কর্মীরা বাড়ি-বাড়িও গিয়েছেন।’’ পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুরে সাইকেল ও টোটো-মিছিল করে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ টোটো চালান। দলের আর এক নেতা দেবু টুডু বলেন, ‘‘এ দিন বাড়ি বাড়ি প্রচারেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।’’ বিকেলে আউশগ্রামে দলের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মাধবডিহিতে সিপিএমের প্রচার। নিজস্ব চিত্র

বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া বর্ধমান শহর ছাড়াও গলসিতে প্রচারে যান। কাটোয়ার একাইহাটে বিজেপি একটি সভা করে। দুপুরে সেই সভায় ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রী রাজেশ কুমার। সেখানে দলের নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের আসার কথা ছিল। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সময়ের মধ্যে হেলিকপ্টার নামার অনুমতি না মেলায় তিনি আসতে পারেননি। বিজেপির তরফে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে সাতটি বিধানসভা এলাকায় মোটরবাইক মিছিল করার কথা ছিল। তবে প্রশাসনিক অনুমতি মেলেনি। তাই দলের তরফে গ্রামে-গ্রামে অটো, টোটোয় প্রচার চালানো হয়। দলের নেতা ধনঞ্জয় হালদার বলেন, ‘‘কাটোয়ায় একটি বড় মিছিল ছাড়া বেশিরভাগ জায়গায় কর্মীরা বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছেন।’’

সিপিএম গোড়া থেকেই বড় সভায় নজর দেয়নি। ছোট-ছোট সভা, মিছিল করেই ভোটের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। প্রচারের শেষ দিনেও সেই ছবিই দেখা গিয়েছে। এ দিন রায়নার প্রচার করেন দলের বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র দাস। নানা এলাকায় টোটোয় প্রচার করতে দেখা গিয়েছে সিপিএম কর্মীদের। বোলপুর কেন্দ্রের অন্তর্গত গুসকরায় মিছিল করেন বাম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোম।

বর্ধমানে বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র অহলুওয়ালিয়া। নিজস্ব চিত্র

বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সিদ্ধার্থ মজুমদার এ দিন অভিযোগ করেন, বিভিন্ন এলাকায় বেছে বেছে কিছু লোকজনের ভোটার কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় কংগ্রেস কর্মীদের মারধর ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে, ফ্লেক্স-ব্যানার সরানো হচ্ছে। কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে বলে তাঁর দাবি।

বর্ধমান শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে আগুনকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়। বড়নীলপুর বটতলায় সকালে দেখা যায়, অ্যাম্বুল্যান্সটি পুড়ে গিয়েছে। সেটির গায়ে বিজেপিকে দোষারোপ করে একটি পোস্টারও দেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE