মলয় ঘটক।
শীঘ্রই চালু হবে বার্নপুরের ইস্কো বিমানবন্দর থেকে উড়ান পরিষেবা, শনিবার আসানসোলে এক বণিক সংগঠনের কর্মসূচিতে দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, ওই বিমানবন্দর এখনও ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (ডিজিসিএ)-এর লাইসেন্স পায়নি।
মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয়বাবু এ দিন বলেন, ‘‘বার্নপুর ইস্কোর বিমানবন্দর থেকে খুব তাড়াতাড়ি বিমান পরিষেবা চালু হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে।’’ তবে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য কয়েকটি গাছ কাটতে হবে ও বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তর করতে হবে। সে বিষয়ে বৈঠক করে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বার্নপুর এখনও ডিজিসিএ-র কাছ থেকে লাইসেন্স পায়নি। সেই লাইসেন্স পাওয়ার পরে সেখান থেকে উড়ান চালু করার বিষয়ে বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলিকে আগ্রহ দেখাতে হবে। তবেই পরিষেবা চালু হবে। খুব তাড়াতাড়ি সেখান থেকে উড়ান চালু হবে বলে মনে হচ্ছে না, দাবি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিকের।
দীর্ঘদিন ধরেই এই শিল্পাঞ্চলে নানা বণিক সংগঠনের তরফে আসানসোল থেকে অল্প দূরত্বের বিমান পরিষেবা চালু করার দাবি উঠেছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রিজিওনাল কানেকটিভিটি উড়ান স্কিম’-এর অধীনে আসানসোল থেকে ছোট বিমান পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাতে সায় দেয় রাজ্য সরকার। ঠিক হয়, বার্নপুরের কালাঝরিয়ায় ইস্কো কারখানার এয়ারস্ট্রিপ থেকে এই পরিষেবা চালু হবে। ২০১৬ সালে ইস্কো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিও করেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০১৭ সালে বিমানবন্দরটি সংস্কারের কাজ শুরু হয়। তৈরি হয়ে গিয়েছে ১২০০ মিটার রানওয়ে, বাতানুকূল যাত্রী প্রতীক্ষালয়-সহ নানা পরিকাঠামো।
মলয়বাবু দাবি করেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে বার্নপুর থেকে রাঁচী, পরে ভুবনেশ্বরের উড়ান চলবে। পরে আরও কিছু জায়গার বিমান পরিষেবা চালু হবে।’’ কবে থেকে তা চালু হবে, তা অবশ্য নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেননি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিমান ওঠানামার নিরাপত্তায় কয়েকটি গাছ কাটতে হবে। বিদ্যুতের কিছু খুঁটি স্থানান্তর করতে হবে। গত মাসে একটি বৈঠক করে কে কোন কাজ করবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রশাসনের কর্তারা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy