এখানেই মেলে দেহ। নিজস্ব চিত্র
প্রণয়ের সম্পর্কে টানাপড়েনের জেরে খুন হয়ে থাকতে পারেন বার্নপুরের আজাদনগরের যুবক, তদন্তে নেমে এমনই ধারণা পুলিশের। এই ঘটনায় ধৃত দু’জনকে জেরা করে কিছু তথ্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। আদালতের নির্দেশে আরও ১১ দিন তাদের হেফাজতে রেখে জেরা করে ঘটনাটি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। যদিও মূল অভিযুক্ত, প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ান দিলশাদ আলম এটি একটি দুর্ঘটনা বলে দাবি করেছেন।
সোমবার সকালে আসানসোলের মহিশীলা গ্রামের একটি কালভার্ট লাগোয়া এলাকা থেকে বছর পঁচিশের শাহনওয়াজ মালিকের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়না-তদন্তের সময়ে মৃতের পিঠ থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তলের গুলি মেলে। শাহনওয়াজ একটি গ্রিলের দোকানে কাজ করতেন। সেটির মালিক বার্নপুরের রহমতনগরের বাসিন্দা দিলশাদ। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ধৃতকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহিশীলার তাপস মুখোপাধ্যায়কেও ধরা হয়।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, তদন্তে নেমে তাঁরা জানতে পারেন, রবিবার রাতে দিলশাদের বাড়িতে নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন শাহনওয়াজ। তাঁর বাবা মহম্মদ আসফাক পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, সে দিন বিকেলে ছেলে বাড়ি থেকে বেরোন। সে দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বারবার তাঁরা ফোন করলেও ছেলে তা ধরেননি। পর দিন দেহ মেলে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এক মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে দিলশাদের সঙ্গে শাহনওয়াজের মনোমালিন্য চলছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তার জেরেই এই খুন বলে পুলিশের অনুমান।
তদন্তকারীদের দাবি, শাহনওয়াজের শরীরে যে গুলিটি মিলেছে সেটি দিলশাদের লাইসেন্সড পিস্তলের বলে জানা গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ দেহটি তাপসের গাড়িতে তুলে মহিশীলা গ্রামে কালভার্ট লাগোয়া এলাকায় নিয়ে গিয়ে ফেলে আসা হয় বলে মনে করছে পুলিশ। খুনের পরে দিলশাদ তাপসকে ফোন করে ডেকেছিলেন, না কি আগে থেকেই তাপস দিলশাদের সঙ্গে ছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাপস এলাকায় জমির দালাল হিসাবে পরিচিত। মহিশীলার শিমূলতলা এলাকায় তার বাড়ি। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির দরজা বন্ধ তালা ঝুলছে। প্রতিবেশীরা জানান, পুলিশ তাপসকে গ্রেফতার করার পরেই পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে চলে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy