—প্রতীকী ছবি।
চার মাসের শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল বাবা। শনিবার ভাতারের মহাচান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের খুরুল গ্রামের ঘটনা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে ওই শিশুকন্যার ঠাকুমাকে। পুলিশের দাবি, ধৃত মনোজ দাস জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানায়, শিশুটির ঘাড়ের ডান দিকে রক্তের দাগ রয়েছে। শুক্রবার রাতে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই মা পুতুল দাসের সন্দেহ গিয়ে পড়ে স্বামীর উপরে। হাসপাতালেই তিনি চিৎকার করতে থাকেন, মদ্যপ স্বামী চার মাসের মেয়েকে খুন করেছে। সেই ঘটনা ঠাকুমা দেখেছেন বলেও দাবি মায়ের। হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ শিশুটির মা, বাবা ও ঠাকুমাকে থানায় নিয়ে যায়। পুতুলদেবী স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
দিন কয়েক আগে নেশা করার জন্য টাকা না পেয়ে ১৯ বছরের মেয়েকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে মেমারির কলেজ-মাঠপাড়ার এক ব্যক্তি। মহাচান্দায় শিশু-খুনের কারণ কী? পুতুলদেবীর অভিযোগ, ‘‘মেয়ে লক্ষ্মী জন্মানোর পরে বাবা হিসেবে কোনও কর্তব্যই পালন করেনি আমার স্বামী। প্রতি রাতে মদ্যপ অবস্থায় এসে অশান্তি করত। মেয়েকে সহ্য করতে পারত না।’’
পুতুলদেবী বলেন, ‘‘ঘুম থেকে উঠে শৌচাগারে গিয়েছিলাম। ফিরে দেখি, মেয়ের ঘাড়ের কাছে লাল হয়ে গিয়েছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। সঙ্গে-সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’’ পড়শিদের একাংশেরও দাবি, পেশায় খেতমজুর মনোজ মদ খেয়ে বাড়িতে অশান্তি করত।
পুতলের বাবা, ভূমশোর গ্রামের বাসিন্দা ফুলেশ্বর দাস বলেন, ‘‘দেড় বছর আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। নাতনির জন্মের পর থেকেই অশান্তি করত মনোজ। লক্ষ্মীকে দেখতে পারত না। কিন্তু নিজের মেয়েকে খুন করবে, স্বপ্নেও ভাবিনি!’’ পুলিশের দাবি, জেরায় মনোজ প্রথমে দাবি করে, বিষাক্ত কোনও পোকার কামড়ে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। পরে মাথায় আঘাত করে খুনের কথা স্বীকার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy