Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

শিল্প-শহরে কারখানায় তালা, জাঁক নেই পুজোর

বন্ধ হয়ে গিয়েছে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি কলকারখানা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের শিল্প-আকাশেও কালো মেঘ জমেছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অর্পিতা মজুমদার
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩৬
Share: Save:

বন্ধ হয়ে গিয়েছে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি কলকারখানা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের শিল্প-আকাশেও কালো মেঘ জমেছে। এই পরিস্থিতিতে অতীতের বিশ্বকর্মা পুজোর জৌলুসও কমেছে বলে মনে করছেন শহরবাসী। বহু জায়গায় কোনও রকমে সারা হয় পুজো।

এমএএমসি, এইচএফসিএল, বিওজিএল— তালিকাটা দীর্ঘ। তালা ঝুলেছে এই সব রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলির। বিওজিএল কারখানার অস্তিত্বই এখন স্মৃতিতে ঠাঁই পেয়েছে। এই সব কারখানাগুলির প্রবীণ কর্মীরা জানান, সাত-আটের দশকেও বিশ্বকর্মা পুজোর জাঁকজমক ছিল নজরকাড়া। বছরের এই দিনটাই বাইরের লোকজনও কারখানায় ঢোকার সুযোগ পেতেন।

অশোক চট্টরাজ, স্বপন গোস্বামী, বিধুভূষণ পালদের মতো কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মনে পড়ে, কারখানার শ্রমিক নন, এমন লোকজন কারখানায় ঢুকে বিশাল বিশাল যন্ত্র দেখে বিস্ময় প্রকাশ করতেন। উচ্ছ্বল হয়ে উঠত শিশুরা। সন্ধ্যা হতেই শহর সেজে উঠত আলোয়। শহরের এক প্রবীণ ঢাকি জানান, দুর্গাপুজোর আগে এই পুজোর জন্য তাঁরা অপেক্ষা করতেন। কারণ, এই দিনটাই কিছু বাড়তি রোজগার হত যে। বীরভূম থেকে আসা ঢাকি বিশ্বনাথ দাস বলেন, ‘‘প্রায় ২৫ বছর ধরে বিশ্বকর্মা পুজোয় দুর্গাপুরে ঢাক বাজাতে আসছি। কত কি যে দেখলাম! আমাদের সে সুদিন আর নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Factory Durgapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE