Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

শিল্পে গতি আনতে বৈঠক

অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় প্রতি মাসে দুর্গাপুরে এই বৈঠক করায় উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রাক্তন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। পরে নতুন জেলাশাসক আসার পরে এবং জেলা ভাগ নিয়ে প্রশাসনিক ব্যস্ততা থাকায় ওই বৈঠক অনিয়মিত হয়ে পড়ে।

চলছে বৈঠক। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

চলছে বৈঠক। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭ ০১:৩৭
Share: Save:

জেলার শিল্পপতি ও বণিকসভাগুলিকে নিয়ে বুধবার প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে শিল্প স্থাপনে দ্রুত এক জানালা নীতি চালু করার আশ্বাস দিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি। শিল্পপতি ও বণিকসভার তরফে রাস্তা, জল, কাঁচামালের সমস্যার পাশাপাশি কিছু জায়গায় স্থানীয় ভাবে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ তোলা হয়। জেলাশাসক সেগুলি বিবেচনার আশ্বাস দেন।

অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় প্রতি মাসে দুর্গাপুরে এই বৈঠক করায় উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রাক্তন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। পরে নতুন জেলাশাসক আসার পরে এবং জেলা ভাগ নিয়ে প্রশাসনিক ব্যস্ততা থাকায় ওই বৈঠক অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এ দিন আবার সেই উদ্যোগ শুরু হল বলে জানান জেলাশাসক। এডিডিএ কনফারেন্স হলে আয়োজিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শঙ্খ সাঁতরা এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক (প্রশাসন) প্রলয় রায়চৌধুরী। জেলাশাসক বলেন, ‘‘শিল্প স্থাপনে সুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির অনেকেই ইতিমধ্যে এক জানালা নীতি চালু করেছে। আমরা দ্রুত সার্বিক ভাবে এক জানালা নীতি রূপায়ণ করতে চাই। প্রতি মাসে আমাদের বৈঠক হবে।’’

বৈঠকে বরাবরের মতো রাস্তা, জল, বিদ্যুৎ ও কাঁচামালের অভাবের প্রসঙ্গ ওঠে। তবে জোরালো ভাবে উঠে আসে জমির চরিত্র পরিবর্তনের সমস্যার কথা। শিল্পপতিরা দাবি করেন, জমির চরিত্র পরিবর্তন আটকে থাকায় ব্যাঙ্ক ঋণ-সহ অন্যান্য বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়ছেন তাঁরা। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি পবন ঘুটঘটিয়া বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ২০১০ সালের আগে শিল্প স্থাপনে নেওয়া জমির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। বাস্তবে তা হয়নি। ফলে পুরনো যাঁরা আছেন, তাঁরা সমস্যায় রয়েছেন। নতুনরাও আগ্রহ হারাচ্ছেন।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামালের জন্য ইস্পাত কারখানার ‘স্লাগ’-এর দাম বার্নপুর ইস্কো অনেক বেশি চাওয়ায় তা বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে।

শিল্পপতিদের আরও অভিযোগ, দু’এক জায়গায় স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর ‘দাদাগিরি’র মুখে পড়তে হয়। এর ফলে শিল্পের স্বাভাবিক গতি থমকে যাচ্ছে। তবে সিন্ডিকেটের উপদ্রব সে ভাবে নেই বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। দুর্গাপুরের বণিকসভার প্রতিনিধি রমাপ্রসাদ ঘোষাল জানান, ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে কখনও কখনও লোডিং-আনলোডিংয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সমস্যা তৈরি করা হয়। তখন এই ধরনের গোষ্ঠীর সঙ্গে সমঝোতা করে কাজ হাসিল করতে হয়। জেলাশাসক অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE