পুনর্বাসন ও চাকরির দাবি জানিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশ আটকে দিয়েছিলেন খনি সম্প্রসারণের কাজ। তারপরে শনিবার দুপুর থেকে পুলিশের উপস্থিতিতে ভানোড়া ওয়েস্ট কোলিয়ারির সম্প্রসারণের কাজ শুরু করল ইসিএল।
ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অগস্ট মাসে আসানসোল পুরসভার পড়িরা ও বারাবনির মাজিয়ারা গ্রামের মাঝখানে একটি নতুন খোলামুখ খনি চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তার জন্য মাজিয়ারা মৌজা ও পড়িরা মৌজায় একশো একরেরও বেশি জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমির উপযুক্ত দাম ও ১৪৮ জন জমিদাতাকে চাকরিও দেওয়া হয় বলে সংস্থার দাবি।
এরপরে গত সেপ্টেম্বর মাসে ইসিএল কর্তৃপক্ষ খনি সম্প্রসারণের কাজ শুরু করতেই তা বন্ধ করে দেন পড়িরা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন এলাকার বাসিন্দা তথা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর নরেন্দ্র মুর্মু। বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করেন, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কয়লা খনন শুরু হলেই এলাকায় ধস নামবে, ফাটল দেখা যাবে ঘর-বাড়িতে। এলাকায় দূষণও ছড়াবে। সে জন্য গ্রামের হাজারখানেক বাসিন্দার পুনর্বাসন না দিলে কাজ শুরু করতে দেওয়া হবে না বলে জানান এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে গ্রামের বেকার যুবকদের ৬০ জনকে চাকরি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। যদিও ইসিএল কর্তৃপক্ষ ওই দাবি মানা হবে না বলে জানিয়ে দেন।
এরপরেই কাজ শুরুর জন্য এডিসিপি-র (সেন্ট্রাল) কাছে চিঠি লিখে সাহায্য চান ইসিএল কর্তৃপক্ষ। শনিবার আসানসোল উত্তর থানার পুলিশকর্মীদের উপস্থিতিতেই কাজ শুরু হয়। ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানান, এ দিন গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়তে হয়নি। তাঁদের আশা, নির্বিঘ্নে কাজ চললে খুব শীঘ্রই লাভের মুখ দেখবে শ্রীপুর এরিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy