এই দোকানেই বোমা ছোড়ার নালিশ। নিজস্ব চিত্র
শহরের মাঝখানে ‘তোলা’ চেয়ে দোকান মালিককে ফোন করা এবং দোকানে বোমা মারার অভিযোগ উঠল। এমনকি, তার পরে ফের ফোন করে বলা হল: ‘টাকা না দিলে এ ভাবেই বোমা পড়বে!’ শুক্রবার বর্ধমান শহরের ঘটনা।
কার্জন গেট থেকে দু’শো মিটারের মধ্যে টাউন হলের কাছে জিটি রোডের ধারেই রয়েছে বিরিয়ানির ওই দোকানটি। দোকানের কর্মী শেখ সূরয জানান, রাত ১১টা নাগাদ দোকান বন্ধ করার তোড়জোড় চলছিল। আচমকা, একটি বোমা এসে পড়ে দোকানের ভিতরে। সেই সময়ে দোকানে কোনও ক্রেতা ছিলেন না। সূরয বলেন, ‘‘বিকট শব্দ। তার পরে চার দিকে ধোঁয়ায় ভরে যায়।’’ দোকানেরই কর্মী অমরনাথ ঠাকুর জানান, তিনি-সহ মোট ছ’জন কর্মী বোমায় জখম হন। জখমদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার সূত্রপাত ওই দিন সকালে। দোকান মালিক রতন সোনকার পুলিশকে জানান, এ দিন ওই দোকান খোলার পরেই একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। হিন্দিতে দাবি করা হয়, ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। রতনবাবুর কথায়, ‘‘প্রথমে গুরুত্ব দিইনি ফোনটাকে। পরে ভাবছিলাম, কী করব। তার মাঝেই রাতে দোকানে বোমা পড়ে। তার পরে ফের ওই একই নম্বর থেকে ফোন আসে। একই কণ্ঠস্বর জানায়, ‘টাকা না দিলে এ ভাবেই বোমা পড়বে’। বিষয়টা পুলিশকে জানিয়েছি।’’
গত ১৯ অগস্ট প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটে শহরের কৃষ্ণপুর মোড়ে। সেখানে একটি বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকানে বোমা ছোড়া হয়। তবে তা ফাটেনি। সেটির মালিকের ছেলে সজল লায়েকও পুলিশকে জানিয়েছিলেন, বোমা ছোড়ার আগে ফোনে কেউ হিন্দিতে তাঁদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছিল। বোমা ছোড়ার পরে ফের ফোনও আসে। বলা হয়, ‘এটা তো ট্রেলার’।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দু’টি ঘটনার মধ্যে যথেষ্ট যোগসূত্র রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, “এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাঁচ দিন আগেকার ঘটনার সঙ্গে শুক্রবারের ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও।’’
তবে এক সপ্তাহের মধ্যে এমন ওই সংগঠনটির সম্পাদক চন্দ্রবিজয় যাদব বলেন, “এক সপ্তাহের মধ্যে শহরের দু’প্রান্তে এমন দু’টি ঘটনায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy