Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শেষ সপ্তাহে ঢল সেলের বাজারে

গোড়ার দিকে তেমন জমছিল না। কিন্তু যত শেষের দিকে এগোচ্ছে, জমে উঠছে চৈত্র সেলের বাজার। শেষ সপ্তাহের রবিবারে ভিড় ও যানজটে স্তব্ধ হয়ে গেল বেনাচিতি বাজার।

ঠেলাঠেলি: বেনাচিতি বাজারে ভিড়। নিজস্ব চিত্র

ঠেলাঠেলি: বেনাচিতি বাজারে ভিড়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৮
Share: Save:

গোড়ার দিকে তেমন জমছিল না। কিন্তু যত শেষের দিকে এগোচ্ছে, জমে উঠছে চৈত্র সেলের বাজার। শেষ সপ্তাহের রবিবারে ভিড় ও যানজটে স্তব্ধ হয়ে গেল বেনাচিতি বাজার।

মাঝে কয়েক দিন বিকেল থেকে আকাশের মুখভার থাকায় সেলের বাজার বাকি পড়ে গিয়েছিল অনেকের। রবিবার আকাশ ছিল ঝকঝকে। গরমও তুলনায় কিছুটা কম। দুর্গাপুরে তাই অনেকেরই গন্তব্য তাই ছিল বেনাচিতি বাজার। ফলে, দোকানে দাঁড়ানোর জায়গা নেই, পার্কিংয়ে গাড়ি রাখার জায়গা নেই, রাস্তায় চলার জায়গা নেই। দোকান থেকে মাঝে-মাঝে কর্মচারীদেরই রাস্তা একটু ফাঁকা করে গাড়ি যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে বেরোতে হচ্ছিল। তবে তাতে লাভ হয়নি বিশেষ। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রায় স্তব্ধই ছিল রাস্তা।

বেনাচিতি বাজারে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে দোকানের সংখ্যা হাজার দশেক। সেলের বাজারে বহু অস্থায়ী দোকানের পসরা এসে পড়েছে রাস্তায়। স্থায়ী দোকানগুলির অনেকেও সামনে পসরা ঢেলে ক্রেতা টানার চেষ্টা করছেন। পথচলতি মানুষজন কেনাকাটা করতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ছেন। যার জেরে ভিড়িঙ্গি মোড় থেকে প্রান্তিকা বাসস্ট্যান্ড— আড়াই কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে মিনিবাসের সময় লেগেছে ঘণ্টাখানেক। যাত্রীদের অনেকে অধৈর্য হয়ে হাঁটা শুরু করে দেন। কিন্তু রাস্তা জুড়ে মোটরবাইক, স্কুটি, টোটোর জেরে হেঁটে এগোনোও মুশকিল। একটি দোকানের কর্মী অনির্বান রায় বলেন, ‘‘শত-শত গাড়ির ফাঁকে অনেকে আটকে গিয়েছেন। তাঁদের পথ করে দিতে মাঝে-মাঝে আমাদের রাস্তায় নামতে হয়েছে।’’

কাপড়ের দোকানের মালিক তপন কর বলেন, ‘‘পরপর তিন দিন সন্ধ্যায় মেঘ জমেছিল আকাশে। আবহাওয়া পরিষ্কার হতেই বহু ক্রেতা আসায় ভিড় জমে যাচ্ছে।’’ একটি বাসের চালক উত্তম রায় বলেন, ‘‘সেলের দিনগুলিতে এই রাস্তা এমনিতেই আমাদের কাছে বিভীষিকা। এখন শেষ কয়েক দিনের বাজারে হাল আরও খারাপ হচ্ছে।’’

রবিবার সন্ধ্যায় সপরিবারে বাজারে গিয়েছিলেন উমা দাস। তিনি বলেন, ‘‘ভিড় দেখে তো মনে হচ্ছিল বাজার করাই হবে না!’’ স্ত্রীকে মোটরবাইকে নিয়ে বেনাচিতিতে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন গোপালমাঠের অশোক পাল। জলখাবার গলির কাছে পৌঁছে আর এগোতে পারেননি। মাঝপথ থেকেই ফিরে যান। তাঁর স্ত্রী ললিতাদেবী বললেন, ‘‘রাস্তা নেই। চারদিকে শুধু মানুষ। যাব কী করে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

crowd Sell Shopping
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE