Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

১৯শে হচ্ছে নতুন জেলা পরিষদ

শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ সভাপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেবু টুডু। ওই দিনের পরে সাবেক বর্ধমান জেলা পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

সুশান্ত বণিক
আসানসোল শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭ ০১:৩৯
Share: Save:

জেলা ভাগ হয়েছে আগেই। এ বার নতুন জেলা পরিষদ তৈরির পালা। আগামী ১৯ জুন আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ। জেলা প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে, শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ সভাপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেবু টুডু। ওই দিনের পরে সাবেক বর্ধমান জেলা পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়, কবে তৈরি হবে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ। শেষমেশ পশ্চিম বর্ধমানের জেলা প্রশাসন এই বিষয়ে দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। ঠিক হয়েছে, ওই দিনই সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি ও বিভিন্ন দফতরের কর্মাধ্যক্ষদের দফতর বণ্টন করে দেওয়া হবে।

৭ এপ্রিল জেলা ভাগের আগে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোটের আগে পৃথক জেলা পরিষদ তৈরি করতে হবে। পরে ফের নির্দেশ আসে তা করতে হবে ৩০ জুনের মধ্যে। গত ২১ এপ্রিল পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কিন্তু সভাপতির পদ সংরক্ষিত থাকবে কি না জটিলতা থাকায় থমকে ছিল নতুন জেলা পরিষদ তৈরির প্রক্রিয়া। সেই জটিলতা কাটিয়ে ঠিক হয়েছে, নতুন জেলা পরিষদে সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি দু’পদই অসংরক্ষিত থাকছে। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, সভাধিপতি পদে তফসিলি জাতির কোনও প্রার্থীকেই বসানো হচ্ছে। নতুন জেলা পরিষদের অধীনে থাকছে আটটি ব্লক ও ৬২টি পঞ্চায়েত।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘১৯ জুন নতুন জেলা পরিষদ তৈরি হচ্ছে। এরপরে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের কাজে আরও গতি আসবে।’’ সম্প্রতি জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠির উপস্থিতিতে বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও পঞ্চায়েত প্রধানদের নিয়ে উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি সমীক্ষামূলক বৈঠক করা হয়। ছিলেন প্রলয়বাবু ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শঙ্খ সাঁতরাও।

কোন কোন বিষয়ের উপরে নবগঠিত জেলাপরিষদ বেশি নজর দেবে, তা নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। শঙ্খবাবু জানান, পঞ্চায়েতগুলির উন্নয়নের কাজ পরিদর্শনে একটি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল আসবে জেলায়। তার আগে সব কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একশো দিনের প্রকল্পে রাজ্যের মধ্যে জেলা দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও ‘নির্মল বাংলা’র কাজ খুব একটা আশাপ্রদ নয় বলে প্রশাসনের কর্তারা জানান। শঙ্খবাবু জানান, শৌচাগার বানাতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ওই সব এলাকায় শৌচাগার তৈরির কাজের তদারকি করার জন্য সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সদস্যদেরও মাঠে নামার জন্য বলা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। সাবেক বর্ধমানের জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নরেন চক্রবর্তী জানান, জেলায় উদ্যান পালনের জন্য প্রায় ন’শো হেক্টর জমি নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের বিকল্প আয়ের সন্ধান দিতে ফলের চাষ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE