গ্রামে গ্রামে প্রশাসনের নিশিযাপন কর্মসূচি নতুন নয়। এ বার বেছে নেওয়া হয়েছে খণ্ডঘোষের শাঁকারি গ্রামকে। বুধবার রাতে সেখানেই সপারিষদ গ্রামের মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার কথা সভাধিপতি দেবু টুডুর।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে শাঁকারিই কেন? তৃণমূলেরই একাংশের দাবি, গত শনিবার এই শাঁকারিতেই খেতমজুর শম্ভু পুইলের বাড়িতে ভাত খান ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস, বিজেপিরাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও অন্য নেতারা। তৃণমূলের সমালোচনাও করেন তাঁরা। এরই যোগ্য জবাব দিতে এই গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
যদিও সে কথা মানতে নারাজ জেলা পরিষদের সভাধিপতি। তাঁর কথায়, “গত কয়েক বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই কর্মসূচি চলছে। হঠাৎ কেউ বলবেন উন্নয়ন হয়নি, সে কথা কী কেউ শুনবে? কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে হেলিকপ্টারে উড়ে তৃণমূলের সমালোচনা করবেন, তা হয় না কি? সাধারণ মানুষ তো ওঁদের কথায় হাসছেন।”
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী শাঁকারি গ্রামে গিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না। তাই পিছিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের উন্নয়ন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই গ্রামে নিশিযাপন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার কী উন্নয়ন করেছে তার ফিরিস্তি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে বিজেপির দিকে পা বাড়ানো কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গেও কথা বলার কথা সভাধিপতির। জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পঞ্চায়েত প্রধানেরা পর্যন্ত মানুষের দরজায় গিয়ে পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। আর বিজেপি হেলিকপ্টারে করে এসে গরিবের মসিহা সাজতে চাইছে।”
তবে সভাধিপতির আচমকা নিশিযাপন কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনিক সভা থেকে দলের কথা কী ভাবে বলা যায়। বিজেপির সাংগঠনিক জেলা বর্ধমান সদরের সভাপতি সন্দীপ নন্দীর কথায়, “সরকারি টাকা নিচু স্তর পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে কি না দেখতেই নেতারা গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। আমাদের দেখানো পথেই তৃণমূল হাঁটছে দেখে ভাল লাগল। আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy