Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Migratory labour

তথ্য ‘নেই’ পরিযায়ী শ্রমিকের

জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে প্রশাসনকে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে হয়েছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সুব্রত সীট
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ০৭:৪৯
Share: Save:

করোনা-আবহে জেলায় ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্যপঞ্জি তৈরি, কাজ হারানো শ্রমিকদের নানা কাজে নিয়োগের ব্যবস্থা করা-সহ বিভিন্ন দাবি সাম্প্রতিক অতীতে করেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। কিন্তু কংগ্রেসের অভিযোগ, তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হলেও জেলা প্রশাসন সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি! যদিও তথ্য না থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রশাসন।

কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর দাবি, তিনি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে জেলা, ব্লকে এবং পুর-এলাকায় কত জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, লকডাউনের জেরে তাঁদের কতজন এলাকায় ফিরেছেন, তাঁদের কত জনকে পর্যাপ্ত রেশন দেওয়া হয়েছে, তাঁদের জন্য কতগুলি নিভৃতবাস কেন্দ্র খোলা হয়েছিল— এই সব বিষয়গুলি জানতে চেয়ে আরটিআই করেছিলেন। দেবেশবাবুর অভিযোগ, ‘‘জেলা প্রশাসন সম্প্রতি জানিয়েছে, এ বিষয়ে কোনও তথ্য তাদেরকাছে নেই।’’

তবে জেলা প্রশাসন তথ্য না থাকার কথা মানতে চায়নি। জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে প্রশাসনকে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে হয়েছে। ফলে, সব তথ্যই রয়েছে। কেন এমনটা বলা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে নিশ্চয়ই এর একটা বিহিত করা হবে।’’ কিন্তু আরটিআই-এর পরে কেন এমন অভিযোগ উঠছে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘কোথাও কোনও গোলমাল হয়েছে। তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ঠিক তথ্য সরবরাহ করা হয়নি।’’

এ দিকে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা’র আওতায় নিয়ে আসার দাবিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নির্দেশে আন্দোলন করছেন কংগ্রেস কর্মীরা। অধীরবাবু সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, কংগ্রেসের ‘চাপে’ পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ হাজার কোটি টাকার ওই কল্যাণ যোজনা গঠন করেছে। যোজনার আওতায় দেশের ১১৬টি জেলা থাকলেও রাজ্যের কোনও জেলা নেই। এ বিষয়ে রাজ্য সরকার ‘উদাসীন’ বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন অধীরবাবু। পাশাপাশি, কংগ্রেস নেতৃত্ব জানান, পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির দলীয় বিধায়ক নেপাল মাহাতো সম্প্রতি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের কেন্দ্রের গরীব কল্যাণ রোজগার যোজনার অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট, দাবি কংগ্রেসের। দেবেশবাবুর অভিযোগ, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্য ও জেলা প্রশাসন কতটা উদাসীন, তা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কোনও তথ্য না থাকাতেই স্পষ্ট।’’

তবে তৃণমূলের জেলা নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রাজ্য যা করেছে, তা দৃষ্টান্তমূলক। বিরোধীরা সে সব কিছু দেখতে পান না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Migratory labour Information
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE