সোমেশপুরে অব্যবহৃত নতুন সেতু।নিজস্ব চিত্র।
সেতু তৈরি হয়েছে সাত বছর আগে। কিন্তু দু’দিকের লিঙ্ক রোড না থাকায় শুরু হয়নি যাতায়াত। ফলে দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না পূর্বস্থলী ও মন্তেশ্বর ব্লকের বহু গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, লিঙ্ক রোড তৈরির কাজ শুরু হলেও অত্যন্ত ঢিমে তালে চলছে। দ্রুত ওই কাজ শেষ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ২৪টি গ্রামের বাসিন্দারা।
দুই ব্লকের সীমান্ত দিয়েই গিয়েছে খড়ি নদী। অন্যসময় তেমন জল না থাকলেও বর্ষায় এই নদীই ভয়াল আকার নেয়। বাসিন্দারা জানান, নৌকায় এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে যাতায়াতও তখন ঝুঁকির। ফলে বহু বছর ধরে নদীর উপর একটি কংক্রিকেট সেতু গড়ার দাবি করছিলেন তাঁরা। দাবি মেনে সাত বছর আগে সেতু তৈরিও হয়। কিন্তু দু’দিকের লিঙ্ক রোডের কাজ শেষ না হওয়ায় আজও সেতু বন্ধই। পূর্বস্থলীর দিকে লিঙ্ক রোডটি মেশার কথা হালদি-নওপাড়ামুখী রাস্তায়। আর মন্তেশ্বরের দিকের লিঙ্ক রোডটি মেশার কথা কুসুমগ্রামমুখী রাস্তায়। জানা যায়, প্রথমে রাস্তার জন্য জমিদাতা চাষিরা ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় কাজে সমস্যা হচ্ছিল। বিধানসভা ভোটের আগে অবশ্য জেলা প্রশাসন সে সমস্যা মেটায়। রাস্তার জন্য মাটি ফেলা শুরু হয়। কিন্তু দু’দিনেক বাসিন্দাদেরই অভিযোগ, কাজ চলছে অত্যন্ত ধীরে। ফলে বাঁশের সেতু দিয়েই পারাপার চলছে। বাসিন্দাদের দাবি, ছোট যানবাহনও বাঁশের সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করে। বর্ষায় অবশ্য সাঁকো ভেঙে যায়। ফলে ভরসা সেই নৌকা।
কাইগ্রাম, হালদি-নওপাড়া, কাইগ্রাম, চুয়াডাঙা, রাউতগ্রাম, গিরিগরনগর, আজাহার নগর, বাবরপাড়া, মোজাহারনগর, ইসবপুর, দুয়ারি গ্রামের বহু বাসিন্দা সব্জি চাষ করেন। তাঁদের দাবি, জেলা সদরে সব্জি নিয়ে যেতে ২০ কিলোমিটার বেশি ঘুরতে হয়। সেতু না থাকায় মন্তেশ্বর থেকে নদিয়া যেতেও পূর্বস্থলী ঘুরতে হয় বলে তাঁদের দাবি। সম্প্রতি দুই ব্লকের ৬০৪ জন গণস্বাক্ষর করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠান। দ্রুত লিঙ্ক রোডের কাজ শেষ করার আর্জিও জানান তাঁরা। এলাকার বাসিন্দা আকাশ দত্ত, দীপা মণ্ডলদের অভিযোগ, ঠিকাদাররা যেভাবে কাজ করছে তাতে কবে রাস্তা কাজ শেষ ঠিক নেই। অথচ সেতুটি অত্যন্ত জরুরি।
ঠিকাদারের গড়িমসির অভিযোগ কানে এসেছে বলে জানিয়েছেন মন্তেশ্বরের বিডিও শাশ্বত দাঁ। তিনি বলেন, ‘‘লিঙ্ক রোডের কাজ নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy