Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

হামলায় ধরা পড়েনি কেউ, আতঙ্ক সালানপুরের স্কুলে

ঘটনার পরে চার দিন পার। স্কুলে হামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাই আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়ছে না বলে জানিয়েছেন সালানপুরের বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকেরা। পুলিশের অবশ্য দাবি, কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ হাতে পেলেই তাদের ধরা হবে। স্কুলের সামনে সর্বক্ষণ টহল দেওয়া হচ্ছে, তাই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলেও আশ্বাস পুলিশের।

সে দিনের হামলার পরে ভাঙা  জানালা। —ফাইল চিত্র।

সে দিনের হামলার পরে ভাঙা জানালা। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৫ ০২:১৮
Share: Save:

ঘটনার পরে চার দিন পার। স্কুলে হামলায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাই আতঙ্ক এখনও পিছু ছাড়ছে না বলে জানিয়েছেন সালানপুরের বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকেরা। পুলিশের অবশ্য দাবি, কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ হাতে পেলেই তাদের ধরা হবে। স্কুলের সামনে সর্বক্ষণ টহল দেওয়া হচ্ছে, তাই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলেও আশ্বাস পুলিশের।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ জনা চল্লিশের একটি দল ওই স্কুলে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তারা স্কুলের পাঁচিল টপকে ঢুকে আটটি গাড়ি ভাঙচুর করে। স্কুলের একটি অফিসঘর ও সহ-অধ্যক্ষের কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয়। ভয়ে তাদের বাধা দেননি নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে তাঁদের গায়েও হাত দেয়নি হামলাকারীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তও করে। কিন্তু কেউ এখনও ধরা পড়েনি।

এ দিকে স্কুলের নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে চলেছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, আতঙ্ক থাকলেও ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের কথা ভেবে স্কুল খোলা রাখতে হচ্ছে। স্কুলের প্রজেক্ট ম্যানেজার অরবিন্দ দত্ত জানান, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁদের আতঙ্ক কাটছেনা। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ষ্কৃতীরা ধরা পড়লে বুঝতাম প্রশাসন সক্রিয়। আমরাও বলভরসা পেতাম। কিন্তু কেউ ধরা না পড়ায় আমরা হতাশ।’’ তিনি আরও জানান, এই অবস্থা চলতে থাকলে স্কুলের ঝাঁপ বন্ধ করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও। আসানসোল-দুর্গাপুরের এসিপি (পশ্চিম) অভিষেক রায়ের অবশ্য আশ্বাস, ‘‘পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’

স্কুল কর্তৃপক্ষ যদিও তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তাঁদের দাবি, তদন্তের কাজ যে দ্রুততায় করা উচিত ছিল তা হচ্ছে না। এই ঘটনার আগেও কয়েক বার তাঁদের স্কুলে কিছু লোকজন ঝামেলা পাকিয়েছে। হামলার ঘটনার পরে সে কথা বিশদে পুলিশকে জানানোও হয়েছে। তা সত্ত্বেও তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি না হওয়া দুশ্চিন্তার বিষয় বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

পুলিশ অবশ্য জানায়, হামলার ধরণ দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে, দুষ্কৃতীরা আশপাশেরই কোনও এলাকা থেকে এসেছিল। তাদের সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে হামলার প্রত্যক্ষদর্শী নিরাপত্তারক্ষীদের কয়েক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু বিশেষ কিছু সূত্র মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তবে হামলায় জড়িতদের ধরার জন্য সব রকম চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ছিনতাইয়ে জড়িত বহিরাগতরা, দাবি। কুলটির নিয়ামতপুরে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় বহিরাগত কোনও চক্র জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের সন্দেহ। গত শুক্রবার বিকেলে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে স্টেশন রোড থেকে ওই ব্যবসায়ীর কাছ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই হয় বলে অভিযোগ। বর্ধমানের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ী জানান, বিকেলে ট্রেন ধরার জন্য রিক্সায় করে যাওয়ার সময় আচমকা ৩ জন ব্যক্তি রিভলভাররের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও টাকার ব্যাগটি নিয়ে পালায়। এসিপি (পশ্চিম) অভিষেক রায়ের দাবি, ওই ৩ জনের চক্রটিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। দ্রুত তাদের ধরা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE