পুরভোট নির্দিষ্ট সময়ে করানোর দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরেই আন্দোলনে নেমেছে বিরোধীরা। কিন্তু তার পরেও দুর্গাপুর-সহ রাজ্যের কয়েকটি পুরসভায় ঠিক সময়ে ভোট হবে কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। জুনে মেয়াদ শেষ হতে চলা এই পুরসভাগুলিতে ঠিক সময়ে ভোট করাতে হলে কয়েক দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। কিন্তু সে ব্যাপারে এখনও কোনও উদ্যোগ নেই বলে নবান্ন সূত্রের খবর। আর তা জানার পরেই ফের সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
মার্চে ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয় দুর্গাপুরে। কিন্তু তার পরে পুরভোট নিয়ে আর কোনও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নজরে পড়েনি। ২৬ মার্চ শহরে এক আলোচনাসভায় ‘সেভ ডেমোক্রেসি’ ফোরামের তরফে ঠিক সময়ে ভোটের দাবি তোলা হয়। সিপিএম এই দাবিতে আগেই নানা কর্মসূচি শুরু করেছে। সম্প্রতি সরব হয়েছে বিজেপি এবং কংগ্রেসও।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের মতো দুর্গাপুর পুর এলাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। তৃণমূলের পুরবোর্ড এখনকার ৪৩টি ওয়ার্ডের সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আশপাশের কিছু পঞ্চায়েত অন্তর্ভুক্ত করে ৭৫টি ওয়ার্ড করা প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তা এখনও কার্যকর হয়নি। শহরের তৃণমূলের একটি অংশের ধারণা, ওয়ার্ড বৃদ্ধির পরেই ভোট হবে। কারণ, গত বিধানসভা ভোটে শহরের দু’টি আসনেই হার থেকে শুরু করে সম্প্রতি রামনবমীতে শহরে বিজেপি-র ভাল মিছিল দেখে সতর্ক দলীয় নেতৃত্ব। ঝুঁকি নিতে না চাওয়ায় আপাতত পুরভোটে যেতে চাইছেন না তাঁরা, মনে করছে বিরোধীরা।
সিপিএমের দুর্গাপুর ২ জোনাল সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘‘শাসক দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে প্রশাসক বসানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা শহরবাসীকে নিয়ে জোরদার আন্দোলন করব।’’ একই বক্তব্য কংগ্রেসের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীরও। বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওরা (তৃণমূল) তো দাবি করে, পাঁচ বছরে এত উন্নয়ন হয়েছে দুর্গাপুর শহরের! তাহলে ভোট করতে ভয় কীসের?’’
শাসকদলের নেতারা অবশ্য সময়ে ভোট নিয়ে কিছু বলতে নারাজ। দলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় শুধু বলেন, ‘‘বিরোধীদের অপপ্রচারে শহরের মানুষ কান দেবেন না। ভোট যখনই হবে, মানুষ আমাদের জয়ী করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy