নিয়োগে ‘বেনিয়ম’ হয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। কিন্তু দু’মাস কেটে গেলেও তা নিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বোলপুর থেকে ফেরার পথে শক্তিগড়ে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আশা করব, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। না হলে শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেব।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কী করা উচিত তা জানাবে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের আমলে নিয়োগ হওয়া শীর্ষ স্তরের পাঁচটি পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ঘাটতির অভিযোগ ওঠে সম্প্রতি। রাজ্যপালের নির্দেশে শিক্ষা দফতর তদন্তও শুরু করে। সিধো-কানহু-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক মণ্ডলকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রায় দু’মাস আগে তদন্ত শেষ করে ২৭২ পাতার একটি রিপোর্ট শিক্ষা দফতরে জমা দেন তিনি। শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা যায়, রেজিস্ট্রার, ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান, দূরশিক্ষা বিভাগের দু’জন সহ অধিকর্তা-সহ পাঁচটি পদেই বেনিয়ম খুঁজে পেয়েছেন দীপকবাবু।
ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরে ২২ মার্চ কর্মসমিতিতে আলোচনার পরে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিল ভুঁইমালি, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য সুব্রত দে ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক তন্ময় দাশগুপ্তকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কী করা উচিত সে ব্যাপারে তাঁদের মতামত দেওয়ার কথা। কিন্তু মাস পার হয়ে গেলেও এখনও তাঁদের মতামত জমা পড়েনি। তদন্ত কমিটির এক সদস্যের কথায়, “অনেক বড় রিপোর্ট। আমরা তিন জন একটা সিদ্ধান্তে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়কে মতামত জানাব। আশা করছি, মে-র প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে মতামত জানাতে পারব।”
বর্ধমানের উপাচার্য নিমাই সাহার আশ্বাস, “রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy