প্রতীকী ছবি।
শহরতলির পর এ বার তার বাইরের এলাকায় ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে বুধবার। পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিকাল থেকে আসানসোল ডিভিশনেও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল শুরু করবে।
প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হওয়ার আগে যাত্রীদের জন্য কী কী ব্যবস্থা করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার আসানসোল স্টেশন চত্বর পরিদর্শন করেন আসানসোলের ডিআরএম সুমিত সরকার। ট্রেনে সফর করতে হলে যাত্রীদের মুখে মাস্ক পরা-সহ একাধিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক। ডিআরএম স্টেশনে স্যানিটাইজার মেশিন, থার্মাল চেকিং পয়েন্ট, যাত্রীদের স্টেশনে ঢোকা ও বেরোনোর গেট, বসার জায়গা, টিকিট কাউন্টার, টিকিট পরীক্ষকদের বিভিন্ন রকম কাজ দেখে নেওয়া ও স্টেশনের যাবতীয় পরিকাঠামো ঘুরে দেখেন।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গেছে, আসানসোল ডিভিশনের বিভিন্ন সেকশনে মোট ৪৪টি নন-সাবার্বান বা প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। যার মধ্যে ৮টি চলবে আসানসোল-বর্ধমান সেকশনে। ৪টি চলবে অন্ডাল–সাঁইথিয়া সেকশনে। ৪টি চলবে আসানসোল–ধানবাদ সেকশনে। ৪টি চলবে আসানসোল–যসিডি-ঝাঁঝা সেকশনে। ২টি চলবে অন্ডাল–যসিডি সেকশনে। অন্য দিকে ধানবাদ-হাওড়া কোলফিল্ড এক্সপ্রেস নাম বদলে স্পেশাল হিসাবে চলাচল শুরু করছে।
আরও পড়ুন: তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রকে আরও জমি, আরও ৪ লক্ষ কর্মসংস্থান, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
কিন্তু এই সমস্ত ট্রেন যে সময়সারণিতে ধরে চলবে, তাতে আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকরা খুশি নন। কারণ, তাঁরা সকালের শিফটে যখন কাজে যান তখন ভোর ৪টে ৫০-এর ট্রেন ধরতেন। যাঁরা দুপুরের শিফটে কাজে যান তাঁরা ১২টা ৪০-এর ট্রেন ধরেন। যাঁরা রাতের শিফটে কাজে যান তাঁরা রাত ৮টা ২৫-এর ট্রেন ধরেন। সেই সময়ে ট্রেন না থাকায় আসানসোল, দুর্গাপুর, পানাগড়, মানকর এলাকায় যে কারখানাগুলো রয়েছে সেখানকার শ্রমিকরা এই ট্রেন চলাচলে কোনও পাবেন না। তাই তাঁরা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ও রেল প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে এই ট্রেনগুলির পাশাপাশি আসানসোল-হাওড়া অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস চালুর দাবি রেখেছেম।
আরও পড়ুন: কাজ দিচ্ছে না দল, ক্ষোভ দুর্গাপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়ালের
দুর্গাপুর অ্যালয় স্টিল কারখানার শ্রমিক মলয় বিট, ডিএসপি-তে কাজ করা অর্ধেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, তুহিন চক্রবর্তী, ত্রিদিব দত্ত, কাজল হালদারের দাবি, ওই সময়গুলিতে ট্রেন চললে তাঁদের খুবই সুবিধা হয়। পাশাপাশি কারখানা থেকে ফেরার সময়ও পুরনো সময়সারণি মেনে ট্রেন চলাচল করলে তাঁদের সুবিধা হয়।
এ ব্যাপারে ডিআরএম জানান, আপাতত ট্রেন চলাচল শুরু করা হচ্ছে। পরে ধাপে ধাপে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে যাতে যাত্রীদের সুবিধা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy