বৃষ্টিভেজা: লাইফ জ্যাকেট গায়ে নেই, ভিজে পারাপার কাটোয়া ফেরিঘাটে। —নিজস্ব চিত্র।
নৌকায় উঠলেই লাইফ জ্যাকেট পরার কথা যাত্রীদের। গোটা পঞ্চাশেক জ্যাকেটও রয়েছে কাটোয়া ফেরিঘাটে। কিন্তু দুর্ঘটনা, বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে সেই জ্যাকেট গায়েও তোলেন না যাত্রীরা।
মঙ্গলবার কাটোয়ার শাঁখাই ফেরিঘাট পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে পরিবহণ দফতরের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইজারাদারদের বিষয়টি দেখার কথাও বলেন তিনি। তাঁদের যদিও দাবি, যাত্রীরা কেউ গরম, কেউ বা অন্যের ঘাম লাগা জ্যাকেট না পরার যুক্তি দেখান। বারবার বোঝানোর পরেও বেশির ভাগ সময়েই কাজ হয় না।
ঘাটে অব্যবহৃত জেটির কথাও ওঠে আলোচনা। জানা যায়, ২০০৮ সালে রাজ্য পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে যাত্রী পারাপারের জন্য ১০০ ফুট লম্বা জেটিটি চালু করা হয়। যাতায়াতের সুবিধায় পাটাতন পাতা হয়। কিন্তু ব্যবহার শুরুই হয়নি। অব্যবহারে মরচে পড়ে ভেঙে যায় পাটাতনের কিছু অংশ। মাঝিদের দাবি, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই ঘাট দিয়ে নদিয়া ও বর্ধমানের হাজার তিনেক যাত্রী পারাপার করেন। কখনও ৫০ জন, কখনও ৮০ জন নিয়ে পার হওয়ায় সময় ওই জেটিতে ধাক্কা লেগে যাত্রীদের জলে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। জেটি সংস্কারের আর্জিতে আশ্বাস দেন আলাপনবাবু। এ ছাড়াও ফেরিঘাটে যানবাহন পারাপারের জন্য অত্যাধুনিক রোরো (রোল অন রোল অফ ভেসেল) সার্ভিস চালুর জন্য বিশ্বব্যাঙ্কে প্রস্তাব দেওয়ার কথাও জানান আলাপনবাবু।
ঘাট থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শুভেন্দু বসুকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীচৈতন্যদেবের মস্তক মুণ্ডনের স্থান কাটোয়ার গৌরাঙ্গবাড়িতে যান আলাপনবাবু। মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়, অতিথিশালায় জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও আসবাবের ব্যবস্থা করা যায়নি। ভবনটি সংস্কারেরও দাবি জানান তাঁরা। বিষয়টি মহকুমাশাসককে দেখার কথা বলেন ওই সচিব। সেখান থেকে বাগানেপাড়ায় শাহ আলমের মাজারে যান তাঁরা। মহকুমার দর্শনীয় স্থানগুলোকে ঘিরে ‘বৈষ্ণব হেরিটেজ ট্যুরিজম’ চালু করা যায় কি না তার তথ্যসম্বলিত প্রস্তাব পাঠাতে নির্দেশ দেন মহকুমাশাসককে। বছরের যে নির্দিষ্ট সময়ে গৌরাঙ্গ বাড়িতে ভক্তদের সমাগম ঘটে সেই কয়েক মাসের জন্য বাস পরিষেবা চালুর বিষয়েও ভাবনা চিন্তা করার কথাও বলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy