বছর চারেকের মধ্যে কালনা ও নদিয়ার শান্তিপুরের মধ্যে যোগাযোগকারী সেতু তৈরি হবে, আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে, সেতুর জন্য জমি দিতে সাধারণ মানুষের কাছে আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। এর পরে আর সেতুর কাজে কোনও সমস্যা হবে না, আশা করছেন প্রশাসনের কর্তারা।
দীর্ঘ দিন ধরে কালনার মানুষজন ভাগীরথীতে পাকা সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতুটি তৈরি হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি শুধু নয়, শহরে পর্যটকদের আনাগোনাও বাড়বে। এলাকার অর্থনীতি শক্ত হবে। প্রথমে সেতুর জন্য বরাদ্দ হয় ৫০০ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে সেতুর প্রাথমিক পর্যায়ে গতি আসে। জেলা ও মহকুমা স্তরে উচ্চ পর্যায়ের কয়েকটি বৈঠক হয়।
শুক্রবার কালনায় প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভাগীরথীর উপরে সেতু কালনার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। তবে সেতুটি করতে কিছুটা সময় লাগবে। ২০২২ সালের মধ্যে তা হবে। এর জন্য সরকারের খরচ হবে এক হাজার কোটি টাকা। সেতুটি তৈরি করতে দু’পাশে কিছুটা জমি দরকার। এর জন্য আপনাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকার কারও জমি জোর করে নেয় না। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
শনিবার কালনা ২ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সেতুর ‘স্কেচম্যাপ’ প্রথমে যা তৈরি হয়েছিল তাতে বদল হয়েছে। প্রথমটির ক্ষেত্রে যেখান দিয়ে সেতুটি যাওয়ার কথা ছিল সেখানে প্রায় ৩০০ বাড়ি ছিল। এখন যে স্কেচম্যাপটি তৈরি হয়েছে তাতে ৩২-৩৫টি বাড়ি ভাঙা পড়ার কথা। সেতুর জন্য কালনার দিকে জমি নেওয়া হবে পূর্ব সাহাপুর, কুলিয়াদহ, হাঁসপুকুর ও বারাসত মৌজায়। ইতিমধ্যে কোন মৌজায় কত জনের জমি নেওয়া হবে তা চিহ্নিতকরণের কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। এর পরেই জমিমালিকর নোটিস দিয়ে জানানো হবে, সেতুর জন্য কতটা জমি নেওয়া হবে। এ ছাড়া মালিকদের নিয়ে বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হবে, জমির জন্য কতটা ক্ষতিপূরণ দেওয়া। কালনার এক প্রশাসনের কর্তা বলেন, ‘‘জেলার তৈরি করে দেওয়া ‘পারচেজিং কমিটি’ ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ঠিক করবে। তবে বাজারমূল্যের থেকে ক্ষতিপুরণের অঙ্ক অনেকটাই বেশি হবে।’’
সেতুর জন্য জমি পেতে অসুবিধা হবে না বলে মনে করছেন কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। শনিবার তিনি জানান, এলাকার মানুষ সেতুর জন্য জমি দিতে মুখিয়ে রয়েছেন। যাঁদের বাড়ি ভাঙা পড়বে, তাঁদের পাশে অন্য জায়গায় বাড়ি করে দেওয়ার ভাবনাও রয়েছে প্রশাসনের। এখন জোরকদমে সেতু তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে, জানাচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy