Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

টাকা না পেয়ে বাড়িতে এসে মারের নালিশ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। কাদা রোডের বাসিন্দা রাহুল রায় একটি নতুন মোটরবাইক কেনেন। সেটি রাতে বাড়ির বাইরে রাখা ছিল। রাহুলবাবু অভিযোগ করেন, ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশের একটি গাড়ি সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁর বাড়ির কাছে দাঁড়ায়।

আহত যুবক ও তাঁর মা। নিজস্ব চিত্র

আহত যুবক ও তাঁর মা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৯ ০০:৩৪
Share: Save:

মোটরবাইকের বৈধ নথিপত্র দেখানো সত্ত্বেও টাকা চাওয়া হয়েছিল। তা না দেওয়ায় বাড়িতে এসে এক যুবক ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে সোমবার দুর্গাপুরের কাদা রোড এলাকায় বিক্ষোভ-অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। কাদা রোডের বাসিন্দা রাহুল রায় একটি নতুন মোটরবাইক কেনেন। সেটি রাতে বাড়ির বাইরে রাখা ছিল। রাহুলবাবু অভিযোগ করেন, ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশের একটি গাড়ি সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁর বাড়ির কাছে দাঁড়ায়। পুলিশের গাড়ির চালক মোটরবাইকটির নথিপত্র দেখতে চান। তা দেখানো সত্ত্বেও তাঁর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ রাহুলবাবুর। তিনি জানান, সে নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। তবে তখন তা মিটেও যায়।

রাহুলবাবু অভিযোগ করেন, ওই ঘটনার প্রায় আধ ঘণ্টা পরে ওয়ারিয়া ফাঁড়ি থেকে জনা কয়েক পুলিশকর্মী তাঁর বাড়িতে আসেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মারধর করা হয় তাঁকে। তাঁর মা পুষ্পা রায়কেও মারধর করা হয়। গোলমাল বুঝে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হলে তাঁদের কারও-কারও উপরে লাঠি চালানো হয় বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের।

রাহুলবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমি নতুন গাড়ি কিনেছি। নথিপত্রও সব আছে। তার পরেও আমি কেন পুলিশকে টাকা দেব, এই প্রশ্ন তোলার কারণেই আমাকে ও পরিবারের কয়েকজনকে মারধর করে পুলিশ।’’ সোমবার সকালে কাদা রোড এলাকায় বেশ কিছু বাসিন্দা প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। তাঁদের অভিযোগ, দিন-দিন এলাকায় পুলিশের অত্যাচার বেড়ে চলেছে। অযথা হয়রান করা হচ্ছে মানুষজনকে। ‘দুর্বার মহিলা সমিতি’র সদস্যা চাঁদনি রায়ের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ যে কোনও অজুহাতে তোলা চাইছে। তারই প্রতিবাদে এ দিন বিক্ষোভ শুরু করেছেন বাসিন্দারা।’’ বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলে। বাসিন্দারা জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক মোদী জানান, কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police Crime Durgapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE