কাটোয়ায় দোকান খোলা-বন্ধ। নিজস্ব চিত্র।
এক দিন অন্তর দোকান খোলার সিদ্ধান্তের পরে ভিড় জমা অনেকটাই আটকানো গিয়েছে কাটোয়ায়, দাবি পুলিশ-প্রশাসনের। নানা দোকান খুলতে শুরু করার পরেই শহরের বিভিন্ন বাজার এলাকায় মানুষজনের আনাগোনা বাড়ছিল। ব্যবসায়ীরা নিজেরা আলোচনা করার পরে, বৃহস্পতিবার শহরের কাছারি রোড, স্টেশনবাজার, মাধবীতলা-সহ নানা এলাকায় পাশাপাশি থাকা দোকানগুলির মধ্যে একটি অন্তর অন্যটি খুলেছিলেন। প্রত্যেকে এক দিন অন্তর দোকান খুলবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুলিশ জানায়, ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করছেন কি না, তা নজরে রাখা হয়েছে। ভিড় এড়াতে এ বার গুসকরাতেও এক দিন অন্তর দোকান খোলার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের নানা প্রান্তে দোকানপাট খুলতে শুরু করতেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন অনেকে। যানবাহন চলাচল বেড়ে যায়। পরিস্থিতি বুঝে ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে পুলিশ ও পুরসভা বৈঠকে বসে। ‘কাটোয়া মহকুমা ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক সুশীল সরকার এ দিন দাবি করেন, এক দিন অন্তর দোকান খোলার সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীরা মেনে চলায় প্রথম দিন থেকেই সুফল পাওয়া গিয়েছে। কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করার আমরা খুশি।’’
এক দিন অন্তর দোকান খোলা ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রিবাটা করার নির্দেশের কথা জানিয়ে এ দিনই গুসকরায় প্রশাসনের তরফে মাইকে প্রচার করা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জিনিসের দোকান খুলতেই ভিড় জমতে দেখা যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে পারস্পরিক দূরত্বও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
গুসকরার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, নানা দোকানে ‘মাস্ক’ না পরেই লাইন দেওয়া, হাটতলায় সংকীর্ণ জায়গায় কেনাকাটা চলছে। হাট সাময়িক ভাবে কোনও খোলা জায়গায় সরানো যায় কি না, সে বিষয়ে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। বুধবার আউশগ্রাম ১ ব্লক কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসন বৈঠক করে। বিডিও চিত্তজিৎ বসু জানান, সিদ্ধান্ত হয়েছে, ব্যবসায়ীরা আলোচনা করে এক দিন অন্তর দোকান খোলা রাখবেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রেও তাঁদের নজর দিতে বলা হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, ‘‘লকডাউন চলাকালীন প্রত্যেককে সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে। পুলিশ নজরদারি চালাচ্ছে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy