অভিযানে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। নিজস্ব চিত্র
পিকনিকের জায়গাগুলিতে কিছু লোকজন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছেন, এই অভিযোগ পেয়ে বুধবার মাইথন ও লাগোয়া জায়গাগুলিতে অভিযান চালাল পুলিশ-প্রশাসন। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মদ্যপানের আসর বসানো, ডিজে সাউন্ডবক্স বাজানোর অভিযোগ ওঠে। মহকুমাশাসক (আসানসোল) দেবজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিডিও (সালানপুর) তপনকুমার সরকারের নেতৃত্বে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর মদের বোতল উদ্ধার করে নষ্ট করা হয়। পাঁচটি ডিজে বক্সও বাজেয়াপ্ত হয়। পিকনিকে আসা মানুষজনকে প্লাস্টিকের সামগ্রী ব্যবহার না করার কথা বলা হয়।
নভেম্বরে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তরফে ‘গ্রিন মাইথন ক্লিন মাইথন’ পরিকল্পনায় পিকনিকে এসে মাদক সেবন ও ডিজে বক্সে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। থার্মোকল বা প্লাস্টিকের সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করা হয়। মাইথনে ঢোকার আগে বেশ কিছু চেকপোস্ট তৈরি করে পিকনিকে আসা দলগুলির গাড়ি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। জেলা প্রশাসনের তরফে এই কাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্লক প্রশাসনকে।
ডিসেম্বর বা জানুয়ারির গোড়ার দিকে সুষ্ঠু ভাবেই পিকনিক হয়েছে বলে জানান মাইথনে আসা মানুষজন। কিন্তু পৌষ সংক্রান্তির দিন মাইথনে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তা জানার পরেই এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ-প্রশাসনের দল। মহকুমাশাসক দেবজিৎবাবু বলেন, ‘‘পাঁচটি ডিজে বক্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রচুর দেশি ও বিদেশি মদের বোতল উদ্ধার করে নষ্ট করা হয়েছে।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, চেকপোস্ট থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে মদ ও ডিজে বক্স নিয়ে পিকনিক কেন্দ্রে ঢুকল এত লোকজন। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, চেকপোস্টের কিছু রক্ষীর সঙ্গে যোগসাজসেই বাইরে থাকা আসা কিছু পিকনিকের দল এই বেনিয়ম করছে। অনেকের আবার অভিযোগ, পিকনিকের মরসুমে এলাকায় বেশ কিছু অস্থায়ী দোকান গজিয়ে উঠেছে। সেগুলি থেকেই মাদক জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করা হচ্ছে। বিডিও তপনবাবু বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞার পরেও চেকপোস্ট পেরিয়ে এ সব কী ভাবে মাইথনে ঢুকেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। এলাকার দোকানদারদেরও সতর্ক করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy