লছিপুরে উদ্ধার মদ। নিজস্ব চিত্র
আচমকা অভিযান চালিয়ে প্রচুর বেআইনি মদ উদ্ধার করল পুলিশ। কুলটির লছিপুর লাগোয়া যৌনপল্লি এলাকা থেকে রবিবার রাতে সেগুলি উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই কারবারে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, কোথা থেকে, কী ভাবে এই মদ জোগাড় করা হয়েছে, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, দোল ও হোলির সময়ে যাতে এলাকায় কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে দিকে নজর রাখতে শিল্পাঞ্চল জুড়ে নজরদারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। রবিবার রাতে লছিপুরে অভিযান চালানো হয়। সেখানেই জলের বোতল রাখার পেটিতে লুকিয়ে রাখা মদের বোতলগুলি মেলে। পুলিশের ধারণা, দোলের সময়ে চড়া দামে বিক্রি করার জন্য সেগুলি মজুত করা হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, লছিপুর এলাকায় অনেক দুষ্কৃতীর আনাগোনা রয়েছে। প্রায়ই নেশার সামগ্রী নিয়ে ঝুটঝামেলা, সংঘর্ষ বাধে। সম্প্রতি এলাকায় মাদকের রমরমা কারবার চলার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন বেশ কিছু বাসিন্দা। পুলিশের কাছে এ সব বন্ধ করার দাবি জানান তাঁরা। নানা সময়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফেও সচেতনতা প্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু এই কারবারে লাগাম পরানো যায়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি।
এলাকার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী রবি ওঝা বলেন, ‘‘নেশার জিনিসের করাবারের ফলে এলাকার ছাত্র-যুবরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই কারবারে জড়িতদের কড়া শাস্তি দিতে হবে।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা কুলটির প্রাক্তন পুরপ্রধান বাচ্চু রায়ও অভিযোগ করেন, ‘‘দিন-দিন এই কারবার বেড়ে চলেছে। উৎসব-অনুষ্ঠানের মরসুমে এর রমরমা আরও বাড়ে। মত্ত লোকজনের দৌরাত্ম্যে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা দিয়ে ঠিকমতো যাতায়াত করতে পারেন না।’’
পুলিশের অবশ্য দাবি, এই এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। নেশার নানা সামগ্রী বাজেয়াপ্তও করা হয়। পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, দোলের আগে মাদকদ্রব্য আমদানি রুখতে ঝাড়খণ্ড সীমানায় নাকাবন্দি করা হচ্ছে। গাড়ি, মোটরবাইকে তল্লাশিও চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy