গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে গিয়ে জখম হয়েছেন পুলিশের এক কর্মী। আক্রান্ত হয়েছেন আরও কয়েকজন পুলিশ। ইটের আঘাতে পুলিশের গাড়িরও ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনার জেরে পুলিশ দুই গোষ্ঠীর ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে তোলা হলে তাঁদের আজ, শনিবার ফের এজলাসে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন দিয়েছেন বিচারক রতনকুমার গুপ্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে দেওয়ানদিঘি থানার জামার গ্রামে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করে। ওই সভা পন্ড করার জন্য অপর গোষ্ঠীর লোকেরা মোটরবাইক নিয়ে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় মহিলারা পুকুর পাড়ে জড়ো হয়ে বাইক বাহিনীর রাস্তা আটকে দেন। দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা, পরে সংঘর্ষ বাধে। বেশ কয়েকজন জখমও হন। খবর পেয়ে দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আদালতে ওই থানার এএসআই অমিয় চন্দ্র লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, পুলিশ পৌঁছনোর পরেই দু’পক্ষই এক হয়ে তাঁদের উপর আক্রমণ চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। বাঁশের আঘাতে কনস্টেবল বিকাশ দলুই জখম হয়েছেন। এক মহিলা পুলিশ কর্মীর উপরে হামলা চালাতে গেলে অন্যরা আটকে ফেলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাওয়ায় বর্ধমান থেকে আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করলে সবাই পালিয়ে যায়। তবে পুলিশের উপর আক্রমণ ও সংঘর্ষে জড়িত থাকার জন্য ঘটনাস্থল থেকেই প্রসেনজিৎ বৈরাগ্য, অরূপ গুপ্ত ও সুখেন্দু পালকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে আস্তিক মাল, কৃষ্ণপদ মাল ও সুদীপ কার্ফাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ৮টি বাঁশ, ভাঙা ইটের টুকরো ও ভাঙচুর অবস্থায় তিনটে মোটর বাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের সদস্য নূরুল ইসলামের অভিযোগ, “জামার গ্রামের রায়ান ২ অঞ্চল সভাপতি ধনঞ্জয় পালের বাড়িতে বাইরের বাইক-বাহিনী হামলা চালায়। তখন মহিলারা বেরিয়ে এসে প্রতিরোধ করে।’’ নিজেকে অঞ্চল সভাপতি দাবি করে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় কোনারের পাল্টা দাবি, “কিছু বহিরাগত গ্রামে অশান্তি পাকাতে চেয়েছিল। পুলিশ সামলেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy