—ফাইল চিত্র।
স্কুলের পুলকারে উঠতে গিয়ে ছাত্রী জখম ও তাকে দেখভাল না করায় অভিযুক্ত স্কুলকে সর্তক করল মহকুমা প্রশাসন। সোমবার কাটোয়ার ঘোষহাটের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম ওই স্কুলের কাছে ঘটনার রিপোর্ট চান মহকুমাশাসক সৌমেন পাল। সঙ্গে পুলকারগুলির স্বাস্থ্য নিয়েও নজরদারি চালানোর কথা জানানো হয়।
ওই স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল চৈতালি দাসের যদিও দাবি, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ওই ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিই। পাঁচ মিনিটের মধ্যে এক শিক্ষিকা তাকে হাসপাতালেও নিয়ে যান। পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়। ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে চিকিৎসার যাবতীয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।’’
এ দিন বিকেলে ওই বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন কাটোয়ার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। স্কুলের তরফে এসেছিলেন চার প্রতিনিধি। জখম ছাত্রীর বাবা-মাকেও ডাকা হয়েছিল। মহকুমাশাসক সব পক্ষের কথা শোনেন। পরে তিনি বলেন, ‘‘ওই অমানবিক ঘটনা যাতে ফের না ঘটে সে জন্য স্কুলকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পূর্ণ রিপোর্ট লিখিত ভাবে দ্রুত জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিটি পড়ুয়ার প্রতি যত্নশীল হতে বলা হয়েছে।’’ সেই সঙ্গে পুলকারগুলির অবস্থা পরীক্ষা করে দেখার জন্য পরিবহণ দফতরকে নির্দেশ দেন তিনি। অনিয়ম ধরা পড়লেই কড়া ব্যবস্থা নিতেও বলেন।
গত শুক্রবার বিকেলে পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুল ছুটির সময় পুলকারে উঠতে গিয়ে জখম হয়। পুলকারের দরজার কাচ ভেঙে ডান হাতের শিরা কেটে যায় তার। অভিযোগ, পুলকারের চালক বারবার জানানোর পরেও স্কুলের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাকি পড়ুয়ারা অন্য পুলকারে চলে যাওয়ার পরে ওই কিশোরী একাই বসে কাঁদছিল গাড়িতে। পরে স্কুলের তরফে এক জন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ফেলে পালায় বলেও অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর বাবা। ওই দিনই মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘ওই স্কুলকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। স্কুলের পুলকার নিয়ে অনেকেই আমাদের কাছে অভিযোগ করেন। মনে রাখতে হবে ছোট গাফিলতি থেকেই অনেক সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আশা করব স্কুল তার নিজের দায়িত্ব পালন করবে।’’ পুলকার পরীক্ষায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্কুলের প্রিন্সিপ্যালও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy