প্রতীকী ছবি।
ভরদুপুরে পড়শি আত্মীয়দের বাড়ির ঝগড়ার আওয়াজ পেয়ে ঘরের বাইরে এসেছিলেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। তখনই এক তরফের ছোড়া গুলিতে প্রাণ গেল তাঁর। মঙ্গলবার দুপুরে মন্তেশ্বরের আজাহারনগরের ঘটনা। মৃত নাজিফা বিবির (২০) মায়ের দাবি, পরিকল্পিত ভাবে খুনও করা হয়ে থাকতে পারে তাঁর মেয়েকে। তবে রাত পর্যন্ত কারও নামে অভিযোগ করেননি তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস আটেক আগে পিপলন পঞ্চায়েতের বাসিন্দা নাজিফার বিয়ে হয় আজাহার নগরের বাসিন্দা ইসমাইল শেখের। তাঁদের পাশেই আলাদা বাড়িতে থাকেন খুড়তুতো আত্মীয়েরা। এ দিন ইসমাইলের দুই খুড়তুতো ভাই ঝন্টু শেখ ও পল্টু শেখের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা বাধে। চিৎকার শুনে বারান্দায় আসেন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাজিফা। অভিযোগ, ঝগড়ার মাঝেই বাড়ির দোতলা থেকে গুলি চালায় ঝন্টু। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
পরে পুলিশ গিয়ে দেহ থানায় নিয়ে আসে। সেখানে ভিড় জমান নাজিফার বাপের বাড়ির লোকজনেরা। তাঁরা অবশ্য ঘটনাটি নিয়ে অন্ধকারে। তাঁদেরই এক জন গোলাপ সাহা বলেন, ‘‘ঘটনার পর মুম্বইয়ে কর্মরত নাজিফার দাদা প্রথম ফোনে ঘটনার কথা জানতে পারে। সেই আমাদের ফোন করে থানায় যেতে বলে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘মাস আটেক বিয়ে হয়েছিল নাজিফার। কি থেকে যে কি হয়ে গেল তা বুঝে উঠতে পারছি না।’’
পড়শিরা জানান, ওই দুই বাড়িতে প্রায়ই সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া অশান্তি হত। তবে আগে কখনও বন্দুক বেরতে দেখা যায়নি। নাজিফার মা জীবন্নেসা বিবির অভিযোগ, ‘‘মেয়ের বিয়ের পর থেকে জামাই ইসমাইল শেখ ও শাশুড়ি মর্জিনা বিবি নানা ভাবে অত্যাচার করত। এটা পরিকল্পিত ভাবে খুনও হতে পারে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পলাতক। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy