আখলপুরের এই সেতু নিয়েই তৈরি হচ্ছে সমস্যা। নিজস্ব চিত্র।
যাত্রীদের পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া শহরে ঢুকতে হলে আখলপুরের সরু রেল সেতু পেরোতে হয়। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি সম্প্রসারণের দাবি জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট নানা পক্ষ। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে কোনও তৎপরতা দেখায়নি রেল, অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের।
২ নম্বর জাতীয় সড়কের চাঁদা ও রানিসায়র মোড় থেকে জামুড়িয়া শহর যাওয়ার দু’টি আলাদা রাস্তা আছে। চাঁদা মোড় থেকে আসানসোল, রানিগঞ্জের রতিবাটি, তিরাট পঞ্চায়েত, কয়েকটি খনি এলাকার সঙ্গে এবং রানিসায়র মোড় হয়ে রানিগঞ্জের সঙ্গে জামুড়িয়ার যোগাযোগের মূল দু’টি রাস্তা আখলপুরে রেলসেতুর কাছে মিলছে। সেতুর তলায় রয়েছে অণ্ডাল থেকে সীতারামপুর হয়ে বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার রেলপথ। কিন্তু চালকদের অভিযোগ, সেতুটি অত্যন্ত সংকীর্ণ হওয়ায় তা দিয়ে এক সঙ্গে একাধিক গাড়ি চলতে পারে না। ফলে, ব্যস্ত সময়ে প্রায়ই যানজট তৈরি হয়।
‘আসানসোল মিনিবাস মালিক সংগঠন’-এর সম্পাদক সুদীপ রায় জানান, জামুড়িয়া শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে ৬২টিরও বেশি মিনিবাস চলাচল করে। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘সেতুটির কারণে প্রায়ই বিপাকে পড়েন বাস চালকেরা। যানজটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব নয়।’’ অ্যাম্বুল্যান্স চালক পলাশ আচার্য জানান, সেতু দিয়ে এক সঙ্গে দু’দিক থেকে গাড়ি চলাচলের জায়গা নেই। এর ফলে, রোগী নিয়ে যাওয়ার সময়েও সমস্যা হয়।
সিপিএম নেতা মনোজ দত্ত জানান, সেতু সম্প্রসারণের দাবিতে ২০০৪-এ তাঁরা সরব হয়েছিলেন। জামুড়িয়া বণিক সংগঠনের সম্পাদক অজয় খেতানও বলেন, ‘‘সেতুর উপরে কোনও যান বিকল হলে দোমহানি দিয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এবং ইকড়া শিল্পতালুক দিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার বেশি রাস্তা ঘুরে জামুড়িয়া শহরে আসতে হয়। রেলের কাছে বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার তদ্বির করা হয়েছে।’’ জামুড়িয়ার সিপিএম বিধায়ক বিধায়ক জাহানার খান জানান, এক দশক আগে রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির তৎকালীন চেয়ারম্যান বাসুদেব আচারিয়া সেতুটি সম্প্রসারণের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও এ বিষয়ে রেল উদ্যোগী হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের এক কর্তা অবশ্য জানান, ওই সেতুটি সম্প্রসারণ করার বিষয়ে এখনও রেলের কাছে কোনও প্রস্তাব নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy