Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বর্ষায় একটা নৌকা ভরসা, দাবি সেতুর

নদীতে জল বাড়লে নৌকাই ভরসা দু’পাড়ের প্রায় পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের। ঘোড়ানাশের সুদীপ্ত ঘোষ, গৌরনাথ চক্রবর্তীদের অভিযোগ, ‘‘ও পাড়ে তাঁতের কাজে যেতে হয়। একটি মাত্র নৌকা চলে। আবার সময়মতো সেটাও মেলে না। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’’

ঝুঁকি: এ ভাবেই পারাপার। নিজস্ব চিত্র

ঝুঁকি: এ ভাবেই পারাপার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৭ ১৩:০০
Share: Save:

শীতে-গরমে হেঁটে নদী পারাপার। আর বর্ষায় জল বাড়লে ভরসা নৌকা বা অল্প জলে সাইকেল। ব্রহ্মাণী নদী পেরনোর এটাই রুটিন কাটোয়ার ঘোড়ানাশ ও চাণ্ডুলী গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দার। তাঁদের অভিযোগ, বারবার সেতুর দাবি জানানো হলেও লাভ হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাটোয়া ২-র ঘোড়ানাশ ও চাণ্ডুলী গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ব্রহ্মাণী নদী। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত নদীতে তেমন জল না থাকায় অনায়াসে হেঁটে বা সাইকেল, মোটরবাইক চড়ে পারাপার করেন বাসিন্দারা। মে-জুন মাস থেকে সমস্যা বাড়ে। নদীতে জল বাড়লে নৌকাই ভরসা দু’পাড়ের প্রায় পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের। ঘোড়ানাশের সুদীপ্ত ঘোষ, গৌরনাথ চক্রবর্তীদের অভিযোগ, ‘‘ও পাড়ে তাঁতের কাজে যেতে হয়। একটি মাত্র নৌকা চলে। আবার সময়মতো সেটাও মেলে না। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’’

বাসিন্দাদের দাবি, চাণ্ডুলী থেকে পাঁচবেড়িয়া হাটতলায় বাজার বা দাঁইহাট স্টেশনে যেতে হলে পেরোতে হয় ব্রহ্মাণী নদী। এ ছাড়াও চাণ্ডুলীতে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার জন্য নন্দীগ্রাম, মূলগ্রাম, চাণ্ডুলীর অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীকে ঘোড়ানাশে আসতে হয় ফি দিন। বিকল্প পথ একটা আছে। কিন্তু তাতে দাঁইহাট-মন্তেশ্বর রোড দিয়ে আড়াই কিলোমিটার ঘুরে দাঁইহাট বা কাটোয়া যাতায়াত করতে হয় চাণ্ডুলীর বাসিন্দাদের। নিমাই রানো, সুদর্শন মিস্ত্রিদের দাবি, ‘‘পারাপারের সময় নৌকা কখনও এক টাকা তো কখনও দশ টাকা চায়। নির্দিষ্ট ভাড়া না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়।’’ পাকা সেতু তৈরি হলে এ সব সমস্যা মিটত বলে দাবি তাঁদেরও।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, লাভজনক না হওয়ায় ওই ঘাটের লিজ নেয়নি কেউ। স্থানীয় এক জন মাঝি পারাপার করান। এ ছাড়া সন্ধ্যা নামলেই আলো না থাকায় পারাপার নিরাপদ নয় বলেও দাবি স্থানীয়দের। কাটোয়া ২-এর বিডিও শিবাশিস সরকার জানান, বছর তিনেক আগে জেলা পরিদের ইঞ্জিনিয়রেরা মাপজোক করেছিলেন। তার পরে কেন কাজ হল না, জানা নেই। দ্রুত পাকা সেতু তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE