হাজার হাতের সরস্বতী। নিজস্ব চিত্র
দুর্গার পরে এ বার সরস্বতী। প্রতিমার উচ্চতা বাড়িয়ে তাক লাগাচ্ছে কাটোয়ার কয়েকটি পুজো উদ্যোক্তা।
শহরের পাওয়ারহাউস পাড়ার গোল্ডেন বয়েজ ক্লাবে এ বারের প্রতিমার উচ্চতা তিরিশ ফুট। রবিবার বিকেলে পুজোর উদ্বোধন করেন মহকুমাশাসক সৌমেন পাল। মাস দুয়েক ধরে ক্লাবের মাঠেই প্রতিমা গড়েছেন দাঁইহাটের চার শিল্পী। বনকাপাশির শোলার সাজে সেজে উঠেছে প্রতিমা। দিন পাঁচেক ধরে টানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ক্লাবটি। ক্লাবের তরফে শ্রীকান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কাটোয়ায় কার্তিক পুজোতেই ধুম বেশি। সরস্বতী পুজো সে ভাবে জাঁকজমকের সঙ্গে হয় না। তবে এ বার আমরা উদ্যোগী হয়েছি।’’ তিনি জানান, দু’লক্ষেরও বেশি টাকা বাজেটের এই পুজোয় রায়বেঁশে, বাউলগানের আসর বসছে।
কাটোয়ার অদূরেই আমডাঙা শিবদুর্গা ক্লাবের পুজোয় মূল আকর্ষণ হাজার হাতের প্রতিমা। উদ্যোক্তারা জানান, এক-একটি হাতের ওজন এক কেজি। এখানেও প্রতিমার উচ্চতা তিরিশ ফুট। কুমোরটুলির জনা পাঁচেক শিল্পীর চেষ্টায় প্রতিমা তৈরি হয়েছে। ক্লাবের সভাপতি শ্যামসুন্দর ঘোষ বলেন, ‘‘শিশুদের অঙ্কন ও প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।’’
মুস্থুলি নাইস ক্লাবের পুজোর মণ্ডপে এ বছর আদিবাসী সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ওই গ্রামেরই নবযুগ সঙ্ঘ পুজো উপলক্ষে কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছে। মুস্থুলি, ঘোড়ানাশ ও আমডাঙা গ্রাম মিলিয়ে প্রায় ৫০টি পুজো হয়েছে। ঘোড়ানাশ অগ্রগামী ক্লাবের পুজোয় ঘোড়ানাচ, আদিবাসী নৃত্যের আয়োজন হয়েছে। কেতুগ্রামের সীতাহাটি, কেউগুড়িতেও সরস্বতী পুজোর ধুম চোখে পড়ার মতো। পুজো উপলক্ষে দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে সীতাহাটি স্ট্রং ক্লাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy