চুরির অভিযোগে ধৃত মহিলারা। (ইনসেটে) উদ্ধার হওয়া শাড়ি।
‘না না, ওটা না। ওই যে লাল রঙের শাড়িটা একটু দেখান...’— দোকানের কর্মচারীকে এ ভাবেই নানা কথায় ব্যস্ত রাখছেন এক জন। আর সেই সুযোগে অন্য জন কাউন্টারের টেবিলে পড়ে থাকা শাড়ি ওড়নায় ঢেকে মুহূর্তের মধ্যে হাপিস করে দিচ্ছেন। এমন ভাবেই কাটোয়ার একটি কাপড়ের দোকান থেকে শাড়ি চুরি করছিলেন কয়েক জন মহিলা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শনিবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন চার জন।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ কাটোয়া রেলগেট এলাকায় মীর আক্রম আলি নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী দোকান খোলার পরে কর্মচারীকে কাউন্টারে বসিয়ে বাইরে যান। তারপরেই কয়েক জন মহিলা মিলে শাড়ি চুরি করেন বলে অভিযোগ। শাড়ি চুরির খানিক বাদেই দোকানের মালিক ও কর্মচারীর টনক নড়ে। ১০টা সুতি ও ৬টি তাঁতের শাড়ি গেল কোথায়!
এরপরে শুক্রবার কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রম। পুলিশ জানিয়েছে, দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শাড়ি চুরির সঙ্গে জড়িতদের প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করা হয়। তারপরে শনিবার সকালে শহরের বাসস্ট্যান্ড, স্টেশনবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সিউড়ির রুটিপাড়ার বাসিন্দা জিবান্নিসা বিবি ও চম্পা বিবিকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয় হিরা বিবি ও ময়না বিবি নামে আরও দু’জনকে। এ দিন ধৃতদের কাটোয়া আদালতে তোলা হলে চার দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
উৎসবের মরসুমে এমন চুরির ঘটনার খবর চাউর হতেই নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ায় এর আগেও বেশ কয়েকটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ দায়ের হয়নি। দিন তিনেক আগেই রাতে দোকানে ঢুকে দোকানদারকে মারধর করে টাকা লুঠের ঘটনা ঘটে লেনিন সরণিতে। স্টেশন বাজার এলাকার ব্যবসয়ী সুশান্ত দত্তের অভিযোগ, ‘‘পুজোর সময়ে প্রায় রোজই দোকানে মাল আসে। সব দোকানে সিসিটিভি নেই। এ ভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা লাটে উঠবে।’’ ব্যবসায়ী সমিতির তরফে বিদ্যুৎকুমার নন্দীর ক্ষোভ, ‘‘বছর দু’য়েক আগে স্টেশন বাজার চৌরাস্তায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের আবেদন করেও লাভ হয়নি। রাতে পুলিশি টহলও বাড়ানো দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy