ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে কাকা-ভাইপোর। রবিবার সন্ধ্যায় মন্তেশ্বর থানার পিপলন গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁদরা এলাকায় একটি আমগাছে একই ফাঁসে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁদের দেহ মেলে। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছুই জানাতে পারেনি পরিবার। পুলিশ দেহগুলি ময়না-তদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে মৃত প্রশান্ত রায় (২৪) ও বিধান রায় (১৮) দূর সম্পর্কের কাকা-ভাইপো। এ দিন একটি ফুলহাতা টি-শার্টের ফাঁসে তাঁদের ঝুলতে দেখা যায়। গ্রামের কয়েকজন বিষয়টি দেখে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। তাঁরা দেহ উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে দু’জনে আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু কেন তাঁরা একসঙ্গে আত্মহত্যা করলেন তা নিয়ে ধন্দে দুই পরিবার।
প্রশান্তবাবুর দাদা সাগর রায় জানান, দিল্লিতে একটি খেলনা কারখানায় কাজ করতেন প্রশান্ত। গ্রামের পুজোয় কয়েকদিন আগে বাড়ি ফিরেছিলেন। তার পরেই এই ঘটনা। মৃত বিধান পিপলন হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। এ বার উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। বিধানের বাবা লক্ষ্মীনারায়ণ রায়ের দাবি, ‘‘ছেলেকে নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। বিধানেরও অভাব, অভিযোগ কিছু ছিল না। তার পরেও এমন ঘটনা ঘটল কেন, বুঝতে পারছি না।’’
তবে এ দিন ময়না-তদন্তে বর্ধমান পুলিশ মর্গে আসা ওই দুই পরিবারের কয়েকজন দাবি করেন, মৃত দু’জনেই মদ্যপান করতেন। মদ খেয়ে কোনও অশান্তির জেরে এমনটা হয়েছে বলে তাঁদের ধারণা। প্রশান্তবাবুর মেজদা গৌতম রায়ের আবার দাবি, ‘‘আমরা নিশ্চিত নই, তবে কোনও মেয়েকে নিয়ে টানাপড়েনেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, সব পক্ষের বক্তব্য খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy