Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

নির্দেশ সত্ত্বেও রাস্তায় বসেনি ‘স্পিড গভর্নর’

নির্দেশ এসেছে নভেম্বরে। কিন্তু কার্যকর হয়নি এখনও। গাড়ির বেপরোয়া গতি রুখতে সরকারি নির্দেশ মতো খনি-শিল্পাঞ্চলে ‘স্পিড গভর্নর’ এখনও বসাতে পারেনি পরিবহণ দফতর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২১
Share: Save:

নির্দেশ এসেছে নভেম্বরে। কিন্তু কার্যকর হয়নি এখনও। গাড়ির বেপরোয়া গতি রুখতে সরকারি নির্দেশ মতো খনি-শিল্পাঞ্চলে ‘স্পিড গভর্নর’ এখনও বসাতে পারেনি পরিবহণ দফতর।

পথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ’ কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য। চালকদের সচেতন করতে শহরে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগ। কিন্তু তার পরেও প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই খনি-শিল্পাঞ্চলের কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে গাড়ি। পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের মতে, এর কারণ গাড়ির বেপরোয়া গতি। তা রুখতেই ‘স্পিড গভর্নর’ যন্ত্র চালু করার নির্দেশ এসেছিল আসানসোলে।

কেন এখনও যন্ত্র বসানো গেল না, সে প্রশ্নে আসানসোল মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক মানস হালদার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর শুধু আশ্বাস, সময় মতোই নির্দেশ কার্যকর হবে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যন্ত্র বসানোর ব্যাপারে আমরা এখনও দ্বিধায় রয়েছি। কারণ, নির্দিষ্ট কোনও একটি সংস্থার যন্ত্র বসানোর অনুমোদন দেওয়া হবে, না কি বাজার চলতি যে কোনও যন্ত্র বসালেই হবে, তা এখনও সরকারের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি।’’

গাড়ির গতি নিয়ে চিন্তিত সব পক্ষই। বিশেষত, ডাম্পার, মিনিবাস ও মোটরবাইকের গতিতে লাগাম পরানো অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। পরিবহণ দফতরের কর্তারা জানান, বেশি সংখ্যায় যাত্রী তোলা ও দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য চালকেরা বেপরোয়া ভাবে মিনিবাস চালাচ্ছেন বলে বারবার অভিযোগ উঠছে। এর জেরে শহরবাসীর নাভিশ্বাস উঠেছে। তাঁরা অভিযোগ করছেন, চালকেরা পুলিশ বা পরিবহণ দফতরের কোনও নির্দেশই মানছেন না। একই রকম ভাবে ইচ্ছেমতো শহর দাপাচ্ছে ডাম্পার। কোলিয়ারি থেকে কয়লা তুলে গন্তব্যে পৌঁছয় অনেক ডাম্পার। যত বেশি কয়লা পৌঁছে দেওয়া যাবে, আয় তত বাড়বে। তাই চালকেরা দ্রুত গাড়ি ছোটান বলে অভিযোগ।

পরিবহণ আধিকারিকেরা জানান, সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ডাম্পারের গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারের বেশি হওয়ার কথা না। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে গতি অনেক বেশি থাকে। ফলে, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মোটরবাইকের দাপটও কম যায় না। লাগাতার অভিযানের জেরে মাথায় হেলমেট চাপানোর অভ্যেস খানিকটা তৈরি হলেও গতিতে রাশ রাখছেন না মোটরবাইক চালকেরা, মানছেন পুলিশের অনেক কর্মীও। এ সব বন্ধ করতে ‘স্পিড গভর্নর’ বসানো জরুরি বলেও দাবি তাঁদের। কিন্তু কবে তা বসবে, নেই নিশ্চয়তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Speed Governor construction Delay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE