কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড। —ফাইল চিত্র।
কোথাও চাঙড় খসে পড়েছে, কোথাও পিলারে চিড়। নেই পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থাও। এমনই হাল কাটোয়া বাসস্ট্যান্ডের। সম্প্রতি বাসস্ট্যান্ডের হাল ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। তিন কোটি টাকা বরাদ্দও হয়েছে।
ফি দিন এখান থেকে ১৯টি রুটে ১৭০টি বাস চলে। বেসরকারি বাস ছাড়াও রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার তিনটি বাস কাটোয়া ভায়া হয়ে দিঘা, কলকাতা ও দুর্গাপুর যায়। পুরসভার সঙ্গে এসবিএসটিসি’র যৌথ উদ্যোগে তিনটি বাসও চলে। ফলে প্রতিদিন হাজার দশেক যাত্রীর আনাগোনা থাকে বাসস্ট্যান্ডে। অথচ তেত্রিশ বছর আগে নির্মিত বাসস্ট্যান্ডটির কখনও সংস্কারই হয় নি বলে অভিযোগ বাস কর্মচারী ও যাত্রীদের একাংশের। কাঠা দশেক জায়গার উপর যাত্রী বিশ্রামাগারটিতেও পাখা নেই, জ্বলে না আলো। অথচ দুটো ঘরের বিশ্রামাগারের আসন ও বাইরের বসার জায়গা মিলিয়ে ১২০ জন যাত্রীর বসার জায়গা রয়েছে। মূল ভবনের ছাদের চাঙড় খসে পড়ে সম্প্রতি আহতও হয়েছেন এক ফল বিক্রেতা।
বাস মালিক ইউনিয়নের সভাপতি নারায়ণচন্দ্র সেন জানান, সাবমার্সিবলের আটটি জলের কল থাকলেও পরিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। বেসরকারি একটি সংস্থার উদ্যোগে বছর তিনেক আগে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের কল লাগানো হলেও মাস তিনেক ধরে তা বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দুটি টিউবওয়েলও খারাপ। দূরপাল্লার বাস চালকদের বিশ্রামের জন্যও কোনও জায়গা নেই বলে তাঁদের দাবি। বর্ধমান রুটের বাসচালক বাসু ঘোষ, মন্টু শেখরা বলেন, ‘‘রাতে বাসেই শুতে হয়। নিরাপত্তা থাকে না।’’
সম্প্রতি বাসকর্মী ও যাত্রীদের দাবি মেনে কাটোয়ার পুরপ্রধান বাসস্ট্যান্ড সংস্কারের অনুরোধ জানালে তাতে সম্মতি জানিয়ে চিঠি দেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, একতলার বদলে তিন তলা বিশ্রামাগার তৈরি হবে। যার দোতলায় যাত্রীনিবাস ও তিন তলায় কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা ও ক্যান্টিন গড়ে তোলা হবে। আরও বেশি সংখ্যায় বাস দাঁড়ানোর সুবিধার জন্য জায়গাও বাড়ানো হবে। জানা গিয়েছে, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, স্ট্যান্ডের রাস্তা মেরামতি, গভীর নলকূপ ও সাবমার্সিবল পাম্প বসানো এবং বৈদ্যুতিন কাজের জন্য পৃথক ভাবে টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শীঘ্রই মেরামতির কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy