Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
TMCP

ভর্তির সময়ে কলেজে দাদাগিরির অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূলের ছাত্রনেতা

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পার্ট-২ অনার্সের পরীক্ষা চলছে। উদয়চাঁদ মহিলা কলেজের ছাত্রীদের পরীক্ষা হচ্ছে রাজ কলেজে। অভিযোগ, সোমবার পরীক্ষা চলাকালীন সুরজ দলবল নিয়ে কলেজে ঢোকেন।

অভিযুক্ত ছাত্রনেতা সুরজ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

অভিযুক্ত ছাত্রনেতা সুরজ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭ ১৮:২৭
Share: Save:

ভর্তির সময়ে কলেজে ছাত্র-নেতাদের ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ অচেনা নয়। এ বার পূর্ব বর্ধমানের রাজ কলেজে পরীক্ষার সময়েও একই ধরনের গা-জোয়ারির চেষ্টা করার অভিযোগ উঠল এক নেতা ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।

পরিস্থিতি সামলাতে মঙ্গলবার দুপুরে টিএমসিপি (তৃণমূল ছাত্র পরিষদ) পরিচালনাধীন ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুরজ ঘোষ-সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন রাজ কলেজের অধ্যক্ষ নিরঞ্জন মণ্ডল। পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টা দু’য়েক পরে তৃণমূল নেতৃত্বের কথায় কলেজ ছাড়েন টিএমসিপি-র সদস্যেরা।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পার্ট-২ অনার্সের পরীক্ষা চলছে। উদয়চাঁদ মহিলা কলেজের ছাত্রীদের পরীক্ষা হচ্ছে রাজ কলেজে। অভিযোগ, সোমবার পরীক্ষা চলাকালীন সুরজ দলবল নিয়ে কলেজে ঢোকেন। বিজ্ঞান বিভাগের দুই পরীক্ষার্থীকে ‘হল’ থেকে বার করে দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের উপরে তিনি চাপ দেন। অধ্যক্ষের দাবি, ছাত্র-নেতাদের ‘দাপাদাপিতে’ শিক্ষক, পরীক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

অধ্যক্ষ বিষয়টি কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব ও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে জানান। পরীক্ষা শেষে ওই দুই পরীক্ষার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানো হয়। নিরঞ্জনবাবুর ক্ষোভ, “পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্র সংসদ বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। তার পরেও সুরজ কলেজে ঢুকে পরীক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। অনলাইনে পূরণ হওয়া ফর্ম খতিয়ে দেখার সময়েও সেখানে থাকতে চাইছে ওই ছাত্র-নেতা।’’

আরও পড়ুন: ডাক্তারদের ডেটা ব্যাঙ্ক তৈরি করছে আইএমএ

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সুরজের দাবি, “আমার বোন এক জন পরীক্ষার্থী। ওকে নিয়ে কলেজে গিয়েছিলাম। তখন কিছু মেয়ে বিনা কারণে আমার সঙ্গে অভব্য আচরণ করে।’’ তাঁর বক্তব্য, তিনি কাউকে হল থেকে বার করে দিতে বলেননি। ছাত্র সংসদ ওই পরীক্ষার্থীদের দুর্ব্যবহারের ব্যাপারে অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিয়েছে। যদিও পরীক্ষার্থীদের একাংশ বলছেন, ‘‘ওই ছাত্র-নেতা হলে ঢুকে দাদাগিরি করছিলেন। কয়েক জন প্রতিবাদ করায় উনি চটে যান।’’ পরে পরীক্ষার্থীরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও লিখিত জানান।

জেলাশাসক জানান, এ ব্যাপারে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। টিএমসিপি-র রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত বলেন, “পরীক্ষা সংক্রান্ত ব্যাপারে ছাত্র সংসদের কারও হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।” মন্ত্রী স্বপনবাবু বলেন, “নিয়মের বাইরে কেউ কলেজে ঢুকলে অধ্যক্ষ ও জেলাশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE