প্রতীকী ছবি।
নির্দিষ্ট সরকারি দফতরের প্রয়োজনীয় অনুমোদন রয়েছে। তার পরেও পাম্পসেট বাজেয়াপ্ত করেছে দুর্গাপুর পুরসভা, এমনই দাবি করলেন গাঁধীমোড় এলাকার একটি বেসরকারি আইন কলেজের কর্তৃপক্ষ। যদিও পুরসভার পাল্টা দাবি, তাদের কাছ থেকে অনুমতি না নেওয়ার জন্য সাবমার্সিবল পাম্পসেটটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কলেজ সূত্রে জানানো হয়েছে, পাইপলাইনের জলে মাঝেসাঝে সমস্যা দেখা দেয়। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ও অতিরিক্ত জলের চাহিদা মেটাতে কলেজ চত্বরেই ওই পাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার জন্য ‘স্টেট ওয়াটার ইনভেস্টিগেশন ডিরেক্টরেট’-এর (সুইড) বর্ধমান কার্যালয়ে আবেদন জানান কর্তৃপক্ষ। ২২মে সুইডের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনে পাম্প বসানো যাবে। তার জন্য দফতরের অনুমোদনের প্রয়োজনই নেই। রাজ্য সরকারের ভূগর্ভস্থ জলসম্পদ অনুসন্ধান দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গিয়েছে, ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহারের জন্য ২০০৫ সালের বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু তা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেওয়া হয় ২০১১-র সেপ্টেম্বরে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, সুইডের বক্তব্য পুরসভাকে জানিয়ে পাম্প বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার পুরসভা পাম্প বাজেয়াপ্ত করে। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে প্রবাল মাইতি বলেন, ‘‘কলেজে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক হস্টেল রয়েছে। পাইপ লাইনের জলে চাহিদা না মেটায় সুইডের অনুমতি নিয়ে পুরসভাকে জানিয়ে পাম্প বসানো হয়েছিল। পাম্প না থাকায় জলের জন্য সমস্যায় পড়তে হবে।’’
পুরসভার অবশ্য দাবি, পুরসভা এলাকায় পাম্প বসাতে গেলে তাদের অনুমতি নিতে হবে। ২৪অগস্ট সে কথা কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানোও হয়েছিল। এর জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তা মানেননি। পুরসভার মেয়র পারিষদ (জল সরবরাহ) পবিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সুইড পাম্প বসানোর কারিগরি অনুমোদন দিতে পারে। কিন্তু পুরসভা এলাকায় পাম্প বসাতে গেলে সেখান থেকেও অনুমোদন জরুরি। তা না মানায় পুরসভা ব্যবস্থা নিয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ পুরসভার কাছে অতিরিক্ত পাইপলাইনের জলের সংযোগের আবেদন করলে তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy