কাটোয়া কলেজে চলছে কাউন্সেলিং। নিজস্ব চিত্র
কলেজে ভর্তির নামে তোলাবাজির অভিযোগ উঠছে রাজ্য জুড়ে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কলকাতার একটি কলেজে গিয়েছেন। এ বার ভর্তি প্রক্রিয়া দেখতে জেলার বেশ কয়েকটি কলেজে হাজির হলেন পুলিশকর্মীরা।
ভর্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা চাইলে নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর সহ অভিযোগ জানানোর জন্য মেল আইডি ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়ে যোগাযোগের জন্য কাটোয়া কলেজে পুলিশের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় দিন দুয়েক আগেই। বুধবার সকাল ৯টা থেকে পিওর সায়েন্স ও বায়ো সায়েন্স জেনারেলের কাউন্সেলিং চলছিল। তিন তলার আইসিটি হলঘরে কাউন্সেলিং করছিলেন কলেজে কর্মীরা। তখনই আচমকা সাদা পোশাকে কলেজে হাজির হন কাটোয়া থানার ওসি সঞ্জীব ঘোষ। কলেজের মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবকদের পরিচয় না দিয়েই ভর্তি সংক্রান্ত নানা বিষয়ে খোঁজ করেন তিনি। ভর্তির জন্য কেউ টাকা চাইছে কি না, কাউন্সেলিং হল পর্যন্ত পৌঁছনোর আগে কোনও বাধা আসছে কি না, উড়ো ফোনে ভর্তি নিশ্চিত করতে টাকা চাওয়া হচ্ছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। অভিভাবক বিনয় বসু, প্রমীলা মুখোপাধ্যায়রা বলেন, ‘‘ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইছিলেন উনি। তবে কলেজে কোনও গন্ডগোল নেই।’’ অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার বলেন, ‘‘অনলাইনেই ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। গন্ডগোলের কোনও আশঙ্কা নেই।’’
এ দিন বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজ ও মহিলা কলেজেও যান জেলা পুলিশের একটি দল। ছিলেন ডিএসপি চন্দন ঘোষ। কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ভর্তি প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি নিয়ে খোঁজ খবর নেন। বিবেকানন্দ কলেজের অধ্যক্ষ শিবপ্রসাদ রুদ্র জানান, পুলিশ আধিকারিকেরা জানিয়েছেন যে কোনও প্রয়োজনে তাঁরা পাশে আছেন। মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুকৃতী ঘোষাল জানান, তাঁদের কলেজ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। তবুও পুলিশ আধিকারিকেরা এসে ফোন নম্বর দিয়ে যে কোনও প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে বলেছেন। পুলিশি তৎপরতা দেখে খুশি অভিভাবকেরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy