প্রতীকী ছবি।
কয়েকদিন আগে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়ানোর ফাঁকে অভব্যতা করার অভিযোগ করেছিল স্কুলছাত্রীরা। ‘চাইল্ডলাইন’-এ জানানোর পরে, স্কুলে দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়। ছ’জনের তদন্ত কমিটিও গড়ে দেয় স্কুল পরিচালন সমিতি। মঙ্গলবার ফের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা ভেস্তে যেতেই ক্ষুব্ধ ছাত্রীদের একাংশ অভিযুক্ত শিক্ষককে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে সহকর্মীরা একটি ঘরে আটকে রাখেন ওই শিক্ষককে। পরে বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ওই তাঁকে। সন্ধ্যায় এক অভিভাবিকার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারও করা হয় বড়নীলপুরের বাসিন্দা ওই শিক্ষককে।
মির্জাপুরের কাছে বর্ধমান-কাটোয়া রোডের ধারের ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি চন্দন তা বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রশাসনের নিয়ম মেনে ও আইন মোতাবেক যা হবে, সেটাই শিরোধার্য।’’ ওই স্কুলেরই শিক্ষক, পরিচালন সমিতির সদস্য অমিত কুমার ঘোষের কথায়, “অভিযোগ আসা মাত্র স্কুল গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছিল। স্কুলের তরফে যা যা করণীয়, সবই করা হয়েছিল। শিক্ষা দফতরকেও জানানো হয়েছে।’’
স্কুল সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক দিন ধরেই দুই শিক্ষকের ‘অশালীন আচরণ’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছিল সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী। তাদের দাবি, পড়ানোর ফাঁকে ‘অসভ্যতা’ করেন শিক্ষকেরা। শুরুতে ভয়ে, লজ্জায় বলতে না পারলেও কয়েক দিন আগে, ‘চূড়ান্ত অসভ্যতা’ হওয়ায় স্কুলের শিক্ষিকাদের বিষয়টি জানায় তারা। শিক্ষিকাদের পরামর্শে ২৮ অগস্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। এক ছাত্রী ‘চাইল্ডলাইন’-এও ফোন করে বিশদে ঘটনা জানায়।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরেই গত শুক্রবার পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে অভিযোগকারী ছাত্রী ও ওই দুই শিক্ষককে ডাকা হয়। তাঁরা দাবি করেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি’র জন্য ছাত্রীরা এ রকম মনে করছে। তবে শিক্ষকদের দাবি মানেনি পরিচালন সমিতি। তদন্ত কমিটি গড়ে ছ’দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। সোমবার ‘চাইল্ডলাইন’-এর এক প্রতিনিধি দল স্কুলে গিয়ে অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্ত শিক্ষকদের সঙ্গে কথাও বলেন।
বর্ধমান থানা সূত্রে জানা যায়, ‘চাইল্ডলাইন’-এর কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরে, প্রধান শিক্ষক মঙ্গলবার দুপুরে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু তিনি নিজে এবং আর এক অভিযুক্ত শিক্ষক আসেননি। এর পরেই অভিযুক্ত অন্য শিক্ষকেরে উপর ক্ষোভ গিয়ে পড়ে ছাত্রীদের। অভিভাবকদের একাংশও স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশের কাছে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২৩ জন ছাত্রী লিখিত অভিযোগ জমা দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy