Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

বায়োডেটা দেখে কর্মী বাছবে ‘টিম পিকে’ 

প্রতিটি বুথ থেকে তিন জনের বেশি নাম জেলা কো-অর্ডিনেটর দেবু টুডুর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে ‘পিকে’র দল বুথ পিছু তিন জনকে বেছে নেবে।

প্রশান্ত কিশোর। ফাইল চিত্র।

প্রশান্ত কিশোর। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০৫
Share: Save:

রীতিমতো ‘ইন্টারভিউ’ নিয়ে বুথস্তরে কর্মী বাছবে তৃণমূল।

দলের একাংশের দাবি, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে) এমনই নির্দেশ পাঠিয়েছেন জেলায়। বুধবার বিকেলে দলের জেলা সদর দফতর, বর্ধমান শহরে কালীবাজারে বিভিন্ন ব্লক ও পুরসভার সভাপতিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সেখানে প্রতিটি বুথ থেকে তিন জনের বেশি নাম জেলা কো-অর্ডিনেটর দেবু টুডুর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে ‘পিকে’র দল বুথ পিছু তিন জনকে বেছে নেবে।

সভায় উপস্থিত এক তৃণমূল নেতার কথায়, “১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বায়োডেটা-সহ পাঁচ-সাত জনের নাম পিকে-র দফতরে পাঠাতে হবে। ওই সব কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তিন জনকে বেছে নেওয়া হবে। পিকে-র দলই ঠিক করে দেবে ওই তিন জনের মধ্যে কে সভাপতি হবেন, কে কো-অর্ডিনেটর হবেন।’’

জেলায় ২১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ছ’টি পুরসভা মিলিয়ে ৪,৭৫০টিরও বেশি বুথ রয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ২৭ হাজার নাম কলকাতায় পাঠাতে হবে। সেখান থেকে সাড়ে ১৪ হাজার কর্মী বেছে নেবে প্রশান্ত কিশোরের দল। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, এক দিকে জনসংযোগ, অন্য দিকে বুথস্তরের সংগঠন ঢেলে সাজতে চাইছে পিকে-র দল। সে জন্যই তিন জন শিক্ষিত সদস্যকে বেছে নিয়ে বুথ স্তরের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা আগামী নির্বাচনগুলিতেও দল পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। জেলার এক নেতা বলেন, “১৯৯৮ সালে দল গঠনের পরে, বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিক কমিটি গঠন হয়েছিল। কার্যত সেটাই প্রথম এবং শেষ কমিটি। সংগঠন নিয়ে দলের তেমন ভাবনা ছিল না। রাজনৈতিক অবস্থা বদলাচ্ছে দেখে দলও সাংগঠনিক ভাবে প্রস্তুত হতে শুরু করেছে।’’

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ব্লক সভাপতিরা বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মী বেছে নেবেন। আর যেখানে দলের বিধায়ক নেই, যেমন জামালপুর ও পূর্বস্থলীতে দলীয় নেতারা এক সঙ্গে বসে বুথস্তরের কর্মী বাছাই করবেন। নেতারা জানান, এর আগে বিধানসভা ভিত্তিক চার জনের একটি দল গড়া হয়েছিল। এ বার বুথ স্তুরে কর্মী বাছাই শুরু হয়েছে। কে, কী কাজ করবেন তা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেবেন পিকে-র দল।

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, এ বার থেকে ব্লক সভাপতিরাও ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে মাঠে নামবেন। বিধায়কদের মতো নিশিযাপন করে মানুষের অসুবিধার কথা শুনবেন। সেই সব সমস্যা লিখিত ভাবে পি কে-র দলের কাছে পৌঁছেও দেবেন। কোথায় যেতে হবে, কারা সঙ্গে যাবেন তার নির্দেশ আসবে ওই দলের তরফে। বৃহস্পতিবার থেকে যুব তৃণমূল নেতারাও ওই কর্মসূচিতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি যেতে শুরু করেছেন। মানুষের সমস্যা লিপিবদ্ধও করছেন। কাটোয়া শহর, কেতুগ্রামের দু’টি ব্লক, মেমারি ১ ও ২ ব্লক এই কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের যুব নেতারা। গলসি ১ ও ব্লকে যুব সভাপতিরা কর্মসূচিও করেন। গলসি ২ ব্লকের কর্মসূচিতে যোগ দেন খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ। গলসি ১ ব্লক যুব সভাপতি পার্থসারথি মণ্ডল বলেন, “দলের নির্দেশ মতোই আয়োজন করা হচ্ছে। মন্ত্রী, বিধায়কদের মতো আমাদেরও রাত কাটাতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Prashant Kishor TMC Worker Bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE