ফাইল চিত্র।
এ বছরও একশো দিনের প্রকল্পে সেরা হওয়া সুযোগ পেয়েছে পূর্ব বর্ধমান।
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতর প্রতি বছর ১০০ দিনের কাজের জন্য রাজ্য ও জেলা স্তরে পুরস্কার দেয়। ওই পুরস্কার নেওয়ার চূড়ান্ত বাছাই পর্বে এ বারও ডাক পেয়েছে গত বার শীর্ষে থাকা এই জেলা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৫ অক্টোবর বেলা ২টোর সময় দিল্লি গিয়ে জেলা প্রশাসনের ১০০ দিনের প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকেরা কাজের সাফল্যের খতিয়ান নিয়ে উপস্থাপনা করবেন। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তারা তা সরেজমিন খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করে মন্ত্রকে জমা দেবেন। তার ভিত্তিতেই ফল ঘোষণা হবে। বুধবার জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, “দিল্লি যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।’’
পূর্ব বর্ধমান ছাড়া, ডাক পেয়েছে কোচবিহার, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ। গত বছর ছ’টি জেলাকে চূড়ান্ত বাছাই পর্বে ডেকেছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতর। এ বছর আটটি জেলাকে ডাকা হয়েছে। হাওড়া, হুগলি ও দুই চব্বিশ পরগনাকে পিছনে ফেলে নাম সেই তালিকায় এসেছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত বছর দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ কর্মদিবস (১৯.৩) তৈরি, প্রকল্পের খরচে (৭৭০ কোটি) শীর্ষে থাকায় সেরার তকমা পেয়েছিল এই জেলা। সে বছর এক ছাতার তলায় অনেকগুলি প্রকল্প চালিয়ে কী ভাবে কর্মদিবস ও সম্পদ করা যায় তার উপরে ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজ়েন্টশন’ দিয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তাদের মন জিতে নিয়েছিল পূর্ব বর্ধমান। এ বার প্রাথমিক বাছাই পর্বের উপস্থাপনায় ১০০ দিন প্রকল্পে জল সংরক্ষণ করে কী ভাবে কৃষি জমিতে তা ব্যবহার করে সেচ কবলিত এলাকা বাড়ানো যায় সে তথ্য দেওয়া হয়েছিল।
প্রশাসনের দাবি, ১০০ দিনের প্রকল্পে পূর্ব বর্ধমানে গত কয়েক বছরে ৩৫ হাজারের বেশি পুকুর কাটা হয়েছে। গত বছ রই ছোট-বড় মিলিয়ে ৪,২৩৩টি পুকুর কাটা হয়েছে। এ ছাড়াও ২,১৫৪টি সেচখাল, ৩৬১টির মতো চেকড্যাম তৈরি হয়েছে। তাতে খণ্ডঘোষ, রায়না ১ ও ২, কালনা ১, মন্তেশ্বর, আউশগ্রাম ১, পূর্বস্থলী ১ ও ২, কেতুগ্রাম ১ ও ২, কাটোয়া ২ ব্লকে সেচ কবলিত এলাকা বাড়ায় চাষের এলাকাও বেড়েছে। একই সঙ্গে ওই প্রকল্পে কাটোয়া ২ ব্লকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে সমবায় গঠনের ফলে আর্থ-সামাজিক উন্নতির কথাও বলা হয়েছে। জল-সংরক্ষণ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কী ভাবনা রয়েছে, সেটাও বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy