কুলটির কেন্দুয়া বাজার এলাকা থেকে ধরা হয় তিন জনকে। নিজস্ব চিত্র
মহিলার কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনতাই করেছিল দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শুক্রবার কুলটির কেন্দুয়া বাজার এলাকা থেকে প্রেমলালা শ্রীবাস্তব, রবি পাসোয়ান ও অঙ্কুর প্রসাদ নামে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার রাত ৮টা নাগাদ ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। সেই সময়ে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন নিয়ামতপুরের ব্যবসায়ী দম্পতি বিজয় গোয়েল ও পুষ্পা গোয়েল। পুষ্পাদেবী বিজয়বাবুর চেয়ে খানিকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন। রাস্তায় লোকজনও তেমন ছিল না। অভিযোগ, সেই সময়ে দু’জন মোটরবাইক আরোহী পুষ্পাদেবীর হাত থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনার পরে পুষ্পাদেবীর চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। কিন্তু তার আগেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তেরা কুলটির আশপাশে কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার মাঝ রাতে গোপন সূত্রে পুলিশ ওই অভিযুক্তদের ডেরার সন্ধান পায়। পুলিশের একটি দল এলাকায় গিয়ে সেই ডেরা ঘিরে ফেলে। তার পরে শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার আগেই ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের দাবি, ধৃতেরা জেরায় তাদের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ৪৪ হাজার টাকা। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘ধৃতদের কাছ থেকে আরও কিছু তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।’’
তবে যে মোটরবাইকটি চড়ে ছিনতাই করা হয় বলে অভিযোগ, সেটির সন্ধান মেলেনি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মোটরবাইকটিও চুরি করা হয়ে থাকতে পারে। তদন্তকারীরা জানান, ধৃতদের জেরা করে ওই মোটরবাইক উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা স্থানীয় না কি ভিন্-রাজ্যের বাসিন্দা, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানায়।
রবিবার ছিনতাইয়ের ঘটনার পরেই তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ভরসন্ধ্যায় ব্যাগ-ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। নিয়ামতপুর চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক সচিন ভালোটিয়া পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধারের দাবিও জানিয়েছিলেন। অবশেষে ছিনতাইয়ের ছ’দিনের মাথায় দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ব্যবসায়ীরা। এ দিন ধৃতদের আসানসোল আদালতে তোলা হলে তাদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy