ঘটনার পরে পঞ্চায়েত অফিসে ছড়িয়ে জিনিসপত্র। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ বার তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল দলেরই একটি পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার গলসি ১ ব্লকের শিড়রাই পঞ্চায়েত অফিসে হামলায় জখম হন প্রধান শেখ আব্দুস সামাদ। তাঁকে পুরসা ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রধানের অভিযোগ, ‘‘দশ-বারো জন আচমকায় পঞ্চায়েতে ঢুকে বাঁশ ও রড দিয়ে আমাকে মারতে থাকে। আমার হাত ভেঙে গিয়েছে। অফিসের চেয়ার-টেবিলও ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশে অভিযোগ করব।’’ প্রধান জানান, ঘটনা নিয়ে তিনি বিডিও বিনয়কুমার মণ্ডলের কাছে অভিযোগ করেছেন। বিডিও জানান, পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। প্রধানের আরও দাবি, হামলার পিছনে রয়েছে দলের স্থানীয় নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য সাবলু শেখের অনুগামীরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রধান সামাদের সঙ্গে সাবলুর গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে থেকেই। সম্প্রতি শিড়রাই গ্রামে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রধানের বিরুদ্ধে দোষারোপ করেছেন সাবলুর অনুগামীরা। তবে প্রশাসনের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
সাবলু অবশ্য ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ রয়েছে বলে মানতে চাননি। তিনি পাল্টা দাবি করেন, পঞ্চায়েতে কেউ শংসাপত্রের জন্য গেলেই সাদা কাগজে সই করানো হচ্ছে। কেন তা করানো হচ্ছে, তা জানতে শিড়রাই গ্রামের কয়েকজন পঞ্চায়েতে গিয়েছিলেন। সাবলুর কথায়, ‘‘আমি গলসিতে ছিলাম। শুনলাম, সাদা কাগজে সই করানোর কারণ জানতে চাওয়ায় ওই বাসিন্দাদের প্রধান গালিগালাজ করেন। সে নিয়ে বচসা শুরু হয়। ধস্তাধস্তি পর্যন্ত হয়। কিন্তু মারধর করা হয়নি বলে শুনেছি। ভাঙচুরের কথাও আমার জানা নেই।’’
ঘটনার নিন্দা করেন দলের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘দলের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে অন্য দলের লোকজন পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকেছিল। তারাই হামলা চালিয়েছে। আমি উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy