Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

জোড়া খুনে ধৃত কালনার তৃণমূল নেতা

দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত কালনা ১ ব্লকের রানিবন্ধ এলাকার বাসিন্দা শান্তিবাবু। কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও ছিলেন তিনি। গত পঞ্চায়েত ভোটে জিতে কালনা ১ ব্লক থেকে জেলা পরিষদের সদস্যও হন। তবে বছর তিনেক আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য তৃণমূলে ফিরে আসেন। এ দিন শান্তিবাবুর পরিবারের তরফে দাবি করে হয়, এলাকায় তাঁর ভাবমূর্তি স্বচ্ছ। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে গ্রেফতার হতে হল তাঁকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৮ ০০:৩১
Share: Save:

পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর সঙ্গীকে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে জেলা পরিষদের বিদায়ী সদস্য শান্তি চালকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে কালনা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেন বিচারক। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শান্তিবাবুর অনুগামীরা।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে কালনার হরিশঙ্করপুর গ্রামে খুন হন কালনা ১ ব্লকের সুলতানপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সুকুর শেখ এবং তাঁর সঙ্গী বাপন শেখ। পরে ২৭ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার স্বাধীনতা দিবসের দিন, জাতীয় পতাকা তোলার জন্য ধাত্রীগ্রাম এলাকায় এসেছিলেন জেলা পরিষদের ওই সদস্য। বাড়ি ফেরার পথে সিমলন এলাকায় তাঁকে ধরে পুলিশ। শান্তিবাবুকে নিয়ে পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সাদেক শেখ-সহ অনেকেই পলাতক। সম্প্রতি ৩৬ জনের নামে চার্জশিটও পেশ করা হয়। তবে অভিযোগের তালিকায় ছিল এমন চার তৃণমূল নেতার নাম বাদ যায় চার্জশিট থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, সাদেক-সহ সাত জনের অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত কালনা ১ ব্লকের রানিবন্ধ এলাকার বাসিন্দা শান্তিবাবু। কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও ছিলেন তিনি। গত পঞ্চায়েত ভোটে জিতে কালনা ১ ব্লক থেকে জেলা পরিষদের সদস্যও হন। তবে বছর তিনেক আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য তৃণমূলে ফিরে আসেন। এ দিন শান্তিবাবুর পরিবারের তরফে দাবি করে হয়, এলাকায় তাঁর ভাবমূর্তি স্বচ্ছ। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে গ্রেফতার হতে হল তাঁকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনার দিন হরিশঙ্করপুর থেকে কিলোমিটার খানেক দূরে বেলেজলা এলাকায় সুকুর বিরোধীরা একটি বৈঠক ডেকেছিল। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন শান্তিবাবু। যদিও ঘটনার পর তিনি দাবি করেছিলেন, দলের বৈঠক বলেই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। বৈঠক শেষ করেই ফিরে এসেছিলেন এলাকায়।

জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘দল এ বার ওঁকে টিকিট দেয়নি। আইন আইনের পথে চলবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Arrest Leader Panchayat TMC Trinamool Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE