কাটোয়ার সভায়। নিজস্ব চিত্র
দিন কয়েক আগেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভায় দলের সবাইকে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তার পরেও দলের ‘কোন্দলের’ ছবি দেখা গেল কাটোয়ায়।
শনিবার শহরের সংহতি মঞ্চে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচিতে কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ডাকে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন হয়। ছিলেন দাঁইহাটের পুরপ্রধান শিশির মণ্ডল, জেলা পরিষদ সদস্য মণ্ডল আজিজুল, জেলা সাধারণ সম্পাদক শমীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কাটোয়া ১ ও ২ ব্লকের নেতানেত্রীরা। তবে গোড়ায় দলের কাটোয়া ও দাঁইহাটের নেতা-কর্মীদের একাংশ আসেননি। পরে কাটোয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি অমর রাম আসেন। সঙ্গে ছিলেন কাটোয়া পুরসভার ‘বিক্ষুব্ধ’ কাউন্সিলর শ্যামল ঠাকুর। এর পরে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবুর ডাকে বক্তব্য রাখতে উঠে অমরবাবু তোপ দাগলেন তাঁর বিরুদ্ধেই।
এ দিন অমরবাবুর অভিযোগ, ‘‘কারও একটা ফোন পেয়ে এই সম্মেলনে এসেছি। কিন্তু বিধায়ক আমাকে ফোন করেননি। আমাকে ফোন করার ক্ষেত্রে ওঁর কোনও লজ্জা আছে কি না জানি না। তবে দলনেত্রী বিধানসভা জুড়ে মিলন সম্মেলন করার কথা বলেছিলেন। সে জন্যই এখানে আসা। কিন্তু এসে শুধুই অপমানিত হচ্ছি।’’ এর পরেই সম্মেলন ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।
ঘটনার পরে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘এই কর্মসূচিতে বিধানসভা এলাকার সব নেতা-কর্মীই এসেছেন। এখানে অপমানিত হওয়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমার হোয়াটস্অ্যাপ থেকে আমি অমরকে মেসেজ করেছিলাম। সেই বার্তা অমর দেখেছে, তারও প্রমাণ রয়েছে। তা সত্ত্বেও অগ্রজ হিসাবে আমি মনে করি, যদি কেউ আমার ব্যবহারে আহত হন, তাঁর কাছে জেনে সংশোধনের চেষ্টা করব।’’
যদিও অমরবাবু পরেও দাবি করেছেন, কর্মসূচির কথা বিধায়ক লোক মারফত তাঁকে জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘শহর সভাপতি হিসাবে আমাকে পিছনের চেয়ারে বসতে দিয়ে অপমান করা হয়েছে। শহরে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য দায়ী থাকবেন বিধায়ক।’’ রবীন্দ্রনাথবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘যা ঘটল সে নিয়ে দলের কর্মী ও ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব চিন্তা করবেন। দল সব কিছুই দেখছে।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘কাটোয়ায় বিধায়কের ডাকা সম্মেলন সফল হয়েছে বলে শুনেছি। কেন অমর রাম সম্মেলন ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তা খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ এ দিনের সম্মেলনে কাটোয়া ২ ব্লক থেকে বেশ কিছু বিজেপি কর্মী তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও বিজেপি তাদের কোনও কর্মীর দলবদলের কথা মানেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy