—প্রতীকী চিত্র।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে কর্মী সম্মেলনের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু কালনায় সেই সম্মেলনে এলেন না বিধানসভা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই। উল্টে, আজ, রবিবার ফের একই রকম একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে তৃণমূলের একটি পক্ষ। ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ সামনে চলে এল বলে দাবি কালনার তৃণমূল কর্মীদের অনেকেরই।
বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর ডাকে শনিবার গোয়ারা এলাকায় একটি হিমঘরে সম্মেলনের আয়োজন হয়। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরপ্রধান, কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ সদস্যেরা, পঞ্চায়েতের প্রধান ও সদস্যেরা-সহ দলের মোট ২৫০ জনের হাজির থাকার কথা ছিল। কিন্তু বিধানসভা এলাকার ১১টি পঞ্চায়েতের মধ্যে শুধু হাটকালনা ও কৃষ্ণদেবপুরের প্রধানেরা এসেছিলেন। সভায় দেখা যায়নি কালনা ২ ব্লকের কোনও পঞ্চায়েতের প্রধানকে। ছিলেন না কালনা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ বেশির ভাগ সদস্যকেও। দেখা যায়নি দলের কালনা ২ ব্লক সভাপতি প্রণব রায়, কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ-সহ শহরের বেশির ভাগ তৃণমূল কাউন্সিলার। ছিলেন শুধু ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুকন্যা পণ্ডিত এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমিতা ঘোষ।
শাসক দলের নানা সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই বিধায়কের সঙ্গে পুরপ্রধানের গোষ্ঠীর মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ রয়েছে। বছরখানেক ধরে দলের কালনা ২ ব্লক সভাপতির সঙ্গেও দূরত্ব বেড়েছে বিধায়কের। সে কারণেই তাঁদের অনুগামীরা সভায় আসেননি। বিধায়ক বিশ্বজিৎবাবু শুধু বলেন, ‘‘এটা আমার নয়, দলের অনুষ্ঠান ছিল। অনেক প্রধান-উপপ্রধান না এলেও সাধারণ কর্মীরা এসেছিলেন।’’
কালনা ২ সভাপতি প্রণববাবু অবশ্য দাবি করেন, ‘‘এ দিন যেখানে সম্মেলন হয়েছে, কালনা ১ ব্লকের সেই সভাস্থল আমাদের এলাকা থেকে অনেকটা দূর। তাই অনেকে যাওয়ার আগ্রহ দেখাননি। আমাদের প্রস্তাব ছিল, কালনা ২ ব্লকের নন্দিনী হলে সভা করার। বিধায়ক রাজি হননি।’’ আজ, রবিবার নন্দিনী হলে একই রকম একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদবাবুর বক্তব্য, ‘‘অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বিধায়ক ফোন করে জানালে নিশ্চয় যেতাম। আমার মতোই অনেক কাউন্সিলরও অসম্মানিত হয়েছেন। রবিবার কালনা ২ ব্লকের অনুষ্ঠানে অবশ্যই হাজির থাকব।’’
বিধায়ক বিশ্বজিৎবাবু অবশ্য জানান, দলের কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে আলোচনা করেই আমন্ত্রণ জানিয়ে কার্ড পাঠানো হয়েছিল নেতাদের। সভাস্থলও নির্বাচন করা হয়েছিল সে ভাবেই। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, এ দিন পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের কর্মী সম্মেলনেও হাজির ছিলেন না দলের ব্লক স্তরের নেতা, জেলা পরিষদ সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির তিন সদস্য।
তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর দেবু টুডুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘কী ঘটেছে, বিশদে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy