প্রতীকী ছবি
বিডিও ‘স্বেচ্ছাচারী’, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না, দুর্ব্যবহার, পরিষেবা না মেলার মতো নানা অভিযোগে কালনা ২ ব্লক অফিসে দীর্ঘ বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। সোমবার দুপুরের ওই বিক্ষোভ কয়েক’শো লোক জড়ো হন। ছিলেন কালনা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সুভাষ ঘোষ, তৃণমূলের তফলিসি জাতি, জনজাতি সেলের সভাপতি হরেকৃষ্ণ মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। তাঁদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, রূপশ্রী প্রকল্পের যোগ্য উপভোক্তাদের বাদ দিয়েছেন বিডিও। পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে কোনও রকম আলোচনাও করা হয়নি।
সেই সময় দফতরে হাজির না থাকলেও সন্ধ্যায় বিডিও মিলন দেবগড়িয়া বলেন, ‘‘আমি চেয়ারে থেকে নোংরামি করতে পারব না। যদি কেউ সরকারি সুবিধা পাওয়ার যোগ্য না হয়, তাকে সুবিধা দেওয়ার ক্ষমতা আমাকে সরকার দেয়নি।’’ পঞ্চায়েত সমিতিকে উপেক্ষার বিষয়ে তাঁর দাবি, ‘‘স্থায়ী সমিতিতে রেজ়োলিউশন করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’
এ দিন বেলা ৩টে নাগাদ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকেরা হাজির হন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সামনে। সেখান থেকে মিছিল যায় ব্লক অফিসে। জড়ো হওয়া লোকজন অভিযোগ করেন, ‘ব্লকে বিডিও স্বেচ্ছাচারী শাসন করেছেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ সদস্যদের কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না’। তাঁদের দিনের পর দিন অপমান এবং অপদস্থ করা হয় এবং কিছু জনপ্রতিনিধিকে ‘লকআপে’ ভরে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়, বলে তাঁদের দাবি।
দলের ব্লক সভাপতি প্রণব রায়ও অভিযোগ করেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে ব্লক প্রশাসন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে না। ব্লক প্রশাসনের গাফিলতিতে রূপশ্রী, বাংলা আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে গ্রামের গরিব মানুষ সুযোগ পাচ্ছেন না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যেখানে জেলার বৈঠকে জানিয়ে গিয়েছেন, যাঁদের নথিপত্র নেই তাঁদের নথি তৈরি করে দেবে প্রশাসন, সেখানে অজুহাত দেখিয়ে বহু গরিবকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’’ এর আগে সরকারি উদাসীনতায় ২০ হাজার মানুষ রেশন কার্ড থেকে ‘বঞ্চিত’ ছিল, যার প্রভাব লোকসভা ভোটে পড়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
পরে নেতারা যুগ্ম বিডিও শামিম আহমেদকে একটি স্মারকলিপি দেন। যুগ্ম বিডিও-এ দাবি করেন, ব্লকে সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy