ধর্মঘটের সমর্থনে বর্ধমান শহরে। নিজস্ব চিত্র।
বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে বৃহস্পতিবারের সাধারণ ধর্মঘটের তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি পূর্ব বর্ধমান জেলায়। জেলা সিপিএমের কার্যালয় থেকে মিছিল বেরিয়ে মিছিল তেঁতুলতলা ও রানিগঞ্জ বাজার হয়ে জিটি রোডে ওঠে। ধর্মঘট সমর্থকরা কয়েকটি বেসরকারি ও সরকারি বাস আটকানোর চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে তা সফল হয়নি। এই ধর্মঘটের বিরুদ্ধে পাল্টা পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার বর্ধমান শহরে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদের নেতৃত্ব মিছিল হয়। মিছিলে গান গেয়ে ধর্মঘটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়।
বৃহস্পতিবার বর্ধমান-হাওড়া মেইন লাইনের পালসিটে ট্রেন অবরোধ হয়। যার জেরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। পাশাপাশি অবরোধ করা হয় ২ নম্বর জাতীয় সড়কও। সেই অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে ধর্মঘটীদের। কয়েকশো বন্ধ সমর্থক কালনার সমুদ্রগড় রেলবাজারে সড়ক অবরোধ করে। রাস্তায় থমকে যায় যানবাহন। অবরোধ তুলতে হিমশিম খেতে হয় নাদনঘাট থানার পুলিশকে।
বৃহস্পতিবার বর্ধমান শহরে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদের নেতৃত্ব মিছিল হয়। মিছিলে গান গেয়ে ধর্মঘটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়। মিছিল বার হয় বর্ধমান স্টেশন চত্বর থেকে। তার পর তা জিটি রোড হয়ে কার্জনগেট দিয়ে ঢোকে। মিছিলে ইফতিকার আহমেদ ছাড়াও ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস। ইফতিকার আহম্মদ বলেছেন, ‘‘ধর্মঘট মানুষ সমর্থন করেনি। ট্রেন চলাচল করছে। রাস্তায় মানুষজন বেরিয়েছেন।’’ বামেদের ধর্মঘট একেবারে ব্যর্থ বলে দাবি করেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে মিশ্র সাড়া পড়েছে বামেদের ডাকা ধর্মঘটে। এদিন সকাল থেকেই ভাতার ব্লকের বাম সমর্থকরা মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে গোটা ভাতার বাজার পরিক্রমা করে। এর পর ভাতার স্টেশনে রেল অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল বলেছেন, ‘‘মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বামেদের ডাকা ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন। দোকানপাট বন্ধ। ভাতার রেলস্টেশনে রেল অবরোধ করা হলে যাত্রীদের অনুরোধে তা তুলে নেওয়া হয়।’’ অন্যদিকে ভাতার ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি জুলফিকার আলির দাবি, ‘‘জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। ভাতার ব্লকের মানুষ এই বন্ধে সমর্থন করেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy