কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় কারচুপি অভিযোগে রবিবার কাটোয়ায় গ্রেফতার হল দুই যুবক। এক জন হাতের ব্যান্ডেজে ও অন্য জন জুতোয় ‘মাইক্রো ব্লু-টুথ’ যন্ত্র লাগিয়ে ফোনে প্রশ্নের উত্তর জেনে নিচ্ছিলেন বলে পুলিশ জানায়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের আশঙ্কাও করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কাটোয়া মহকুমার ১৪টি কেন্দ্রে ৫১৪৭ জন পরীক্ষা দিচ্ছিলেন এ দিন। দুপুর ১২টা নাগাদ কাটোয়া কলেেজ বছর সাতাশের চিন্ময় ঘোষ ও কাটোয়া রামকৃষ্ণ হাইস্কুলে বছর বাইশের অচ্যুত ঘোষকে ধরা হয়। চিন্ময় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং অচ্যুত উচ্চ মাধ্যমিক পাশ বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, মন্তেশ্বরের বামুনিয়ার বাসিন্দা চিন্ময়ের বাঁ হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল। ওই কেন্দ্রের পরিদর্শক তথা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজ মুখোপাধ্যায় জানান, ওই যুবক ব্যান্ডেজের কাছে বারবার হাত দেওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁর। সারা দেহে তল্লাশি চালিয়ে কিছু না পাওয়া গেলেও শেষমেশ ব্যান্ডেজের ভিতর থেকে পাওয়া যায় ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের আকৃতির ব্লু-টুথ যন্ত্রটি। আরও তল্লাশিতে কানে লাগানো একটি ছোট যন্ত্রও মেলে। একই ভাবে রামকৃষ্ণ হাইস্কুলে ধরা পড়েন কালনার বিরুহার বাসিন্দা অচ্যুত। তাঁর জুতোর শুকতলায় একই যন্ত্র পাওয়া যায়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের পিছনে জেলায় একটি চক্র কাজ করছে। পরীক্ষার্থীদের কােছ হাজার দশেক টাকাও নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, পরীক্ষার্থীদের বলা হয়েছিল দুপুর ১২টা দশ মিনিটে ফোন আসবে ওই যন্ত্রে। যন্ত্রের মধ্যে ফোনটি নিজে থেকেই চালু হওয়ার অপশন রয়েছে। ফোন চালু হওয়ার পরে প্রথম ১০০টি প্রশ্নের উত্তরে বলে দেওয়া হবে। ১০ সেকেন্ডে এক একটি প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়া হবে। পুলিশের দাবি, ওই দু’জনকে জেরা করে চক্রের বাকিদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy