Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

সেপটিক ট্যাঙ্কে শিশুর দেহ মিলতেই আত্মহত্যা কাকার

বছর তিনেকের শিশু নিখোঁজ হওয়ার পরে সন্দেহ গিয়ে পড়েছিল তাঁর উপরে। শিশুর খোঁজ চালানোর পাশাপাশি তাঁর গতিবিধির উপরেও নজরে রেখেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে এলাকার এক সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শিশুটির দেহ মেলার পরেই চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ওই কাকা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে বুধবার ভোরে মৃত্যু হল তাঁর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুলটি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৫৩
Share: Save:

বছর তিনেকের শিশু নিখোঁজ হওয়ার পরে সন্দেহ গিয়ে পড়েছিল তাঁর উপরে। শিশুর খোঁজ চালানোর পাশাপাশি তাঁর গতিবিধির উপরেও নজরে রেখেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে এলাকার এক সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শিশুটির দেহ মেলার পরেই চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ওই কাকা। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে বুধবার ভোরে মৃত্যু হল তাঁর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর দুপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় কুলটির পাতিয়ানা মহল্লার আবিদ হুসেইনের শিশুপুত্র জিসান। আশপাশে অনেক খুঁজেও কোনও হদিস না পেয়ে কুলটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। আবিদ দাবি করেন, ওই বয়সের ছেলের পক্ষে নিজে কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়। তাই অপহরণ করা হয়েছে বলে তাঁদের সন্দেহ। পরিচিত কেউই এর পিছনে রয়েছে বলেও পুলিশের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। কারণ, অপরিচিত কেউ ছেলেকে নিয়ে গেলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হতো।

পুলিশ জানায়, তদন্তে নেমে আবিদের ভাই জাবেদ আনসারির (৪৫) হাবভাব দেখে তাদের সন্দেহ হয়। তার উপরে নজর রাখা হচ্ছিল। খুন করে কোনও জায়গায় শিশুটির দেহ ফেলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে, সূত্র মারফত এমন তথ্য পায় পুলিশ। এর পরেই মঙ্গলবার বিকেলে ওই এলাকায় কেন্দুয়াবাজার রোডে এক নর্দমার পাশে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শিশুটির পচাগলা দেহ পুলিশ উদ্ধার করে। শ্বাসরোধ করে খুনের পরে শিশুটিকে ওই ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির দেহ উদ্ধারের খানিক পরেই খবর মেলে, জাবেদ রেললাইনে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েছেন। ট্রেনের ধাক্কায় একটি হাত কাটা পড়ে তাঁর। পুলিশ তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ দিন ভোরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

আবিদ ও জাবেদের পরিবার একই সঙ্গে থাকে। জাবেদের মৃত্যুর পরে গোটা বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পরিবারের কেউ। পুলিশ জানায়, শিশু নিখোঁজের ঘটনায় জাবেদ সন্দেহের তালিকায় ছিল। দেহ উদ্ধারের পরে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে পুলিশ কর্তাদের অনুমান। তবে কেন শিশুটিকে খুন করা হল, তা তাঁরা জানাতে পারেননি। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস জানান, প্রাথমিক ভাবে পারিবারিক বিবাদের জেরেই এমন ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

septic tank suicide dead body
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE